নেত্রকোনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ ছাড়া মাঠে নেই অন্যরা। তাই আওয়ামী লীগ-আ’লীগই হচ্ছে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা এটা এখন নিশ্চিত। ফলে বিএনপিবিহীন নিরুত্তাপ এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে এবং নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট টানতে নিরন্তর চেষ্টা বিভক্ত সরকার দলের। তবে বিএনপি এ নির্বাচন বর্জনে জনগণকে আহ্বান জানিয়ে চলেছেন। একতরফা, অবৈধ, ডামি নির্বাচন উল্লেখ করে মিটিং মিছিলের পাশাপাশি লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এ আহ্বান জানাচ্ছেন বিএনপিসহ সমমনারা।
কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদ-১৫৯ নেত্রকোনা-৩ আসন। মোট ৬ জন প্রার্থী রয়েছেন এ আসনে। এদের মধ্যে বর্তমান এমপি কেন্দ্রীয় আ’লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নৌকা, নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মনজুর কাদের কোরাইশী ঈগল এবং আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন।
লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া। আর তৃণমূল বিএনপির মিজানুর রহমান খানের সোনালী আঁশ এবং ইসলামী ঐক্যজোট একাংশের অধ্যাপক এহতেশাম সারোয়ারের মিনার মার্কা নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তবে এখন পর্যন্ত আ’লীগের এই তিন প্রার্থী ছাড়া তেমন মাঠে নেই অন্যরা। ফলে বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে উৎতাপও নেই তেমন। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘিরে তিন ভাগে বিভক্ত। স্ব স্ব প্রার্থীর পক্ষে মিটিং মিছিল করে চলেছেন তারা। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে পোস্টার, ব্যানার টানানোসহ লিফলেট বিতরণ করছেন সমান তালে। মন জয়ের প্রতিযোগিতায় ভোটারদের দ্বারস্থ হচ্ছেন কর্মীবাহিনী।
এদিকে ভুয়া, ডামি, অবৈধ উল্লেখ করে জনগণকে এ নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছেন বিএনপিসহ সমমনারা। মিটিং ও মিছিলের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে এ আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। তবে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে এবং নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট টানতে নানা কৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন বিভক্ত সরকারি দলের নেতা কর্মীরা। দিচ্ছেন হামলা, মামলাসহ সব প্রকার হয়রানি থেকে রেহাইয়ের আশ্বাস। চলছে আত্মীয় থেকে আত্মীয়তা ঝালাইয়ের প্রতিযোগিতাও।
নৌকা, লাঙ্গল, ঈগল ও ট্রাক একই কোম্পানির চারটি প্রোডাক্ট উল্লেখ করে কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মজনু বলেন, এ ভাগাভাগির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কারো মাঝে কোনো আমেজ নেই। এমনকি মাঠে নেই দালাল প্রার্থীরাও। এতেই প্রমাণ করে এই এক তরফা অবৈধ নির্বাচন জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছেন।