বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেমেদ্বীন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশের কৃতি সন্তান, প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ, ফিকহ বিশেষজ্ঞ, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রাক্তন মুহাদ্দিস, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ২৬তম অধ্যক্ষ, আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহঃ)র জীবনকর্ম ও চিন্তা চেতনা বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার জন্য গঠিত হয়েছে “আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহ.) গবেষণা কেন্দ্র”। এটি প্রতিষ্ঠা করেছেন হযরতের পুত্র লেখক ও গবেষক মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন। ২০১৬ সালে এই গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অধ্যক্ষ আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহঃ) একজন বড় মাপের আলেম ও হাদীস বিশারদ ছিলেন। উনার বহু ছাত্র-ছাত্রী দেশ-বিদেশে আলোকিত হয়েছে। এই মনীষীর বর্ণাঢ্য জীবনের উপর আলোকপাত করে কিভাবে আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া যায় এটাই গবেষণা কেন্দ্রের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহ.) গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহ.)-এর জীবন ও কর্ম নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে এবং অনেক গুণীজন, লেখক, গবেষক এবং শিক্ষবিদরা তাকে লিখেন। আর লেখাগুলি আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহ.) গবেষণা কেন্দ্র সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকা সহ বিভিন্ন জার্নালে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়।
আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহ.) গবেষণা কেন্দ্রের কার্যক্রম জাতীয় এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমার কয়েকটি প্রত্যাশা তুলে ধরার চেষ্টা করছি- আল্লামা ফখরুদ্দীন (রহ.)-এর জীবন ও কর্ম নিয়ে আরো বড় পরিসরে গবেষণা করা এবং তার মূল্যবান অপ্রকাশিত রচনাবলী প্রকাশিত করে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা অতি জরুরি । কেন্দ্রটিকে একটি নির্ভরযোগ্য জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এই গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে নিয়মিতভাবে বেশি বেশি সেমিনার এবং আলোচনা সভার আয়োজন করার মাধ্যমে ফখরুদ্দীন (রহ.)-এর চিন্তা-চেতনা নিয়ে আলোচনা করা।
আল্লামা ফখরুদ্দীন রহ গবেষণা কেন্দ্র উদ্যোগে তার জীবন ও কর্মের উপর ভিত্তি করে একটি ডাটাবেস এবং ডকুমেন্টারি তৈরি করা। এই গবেষণা কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা যেতে পারে। একইসাথে এই গবেষণা কেন্দ্রটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতা করার মাধ্যমে ফখরুদ্দীন (রহ.)’র জীবনকর্ম সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। যার ফলে এই গবেষণা কেন্দ্রটিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর হবে বলে আমার বিশ্বাস।
এই কেন্দ্রটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, যদি এটি সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং এর কার্যক্রমের মাধ্যমে ফখরুদ্দীন (রহ.)-এর আদর্শ ও জ্ঞান সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।