পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি প্রবাসী ইউনুস আলী শেখকে রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। একইসঙ্গে তার বিদেশ পালানোর চেষ্টা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও উঠে এসেছে।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকার দক্ষিণখান থানাধীন আজমপুর জয়নাল মার্কেট সংলগ্ন হাজী সবুর খান রোডের ২২ নম্বর বাড়ি থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২ এর সহায়তায় ইউনুস শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত একটি এয়ার টিকিট অনুযায়ী জানা গেছে, ইউনুস আলী শেখ ১৭ জুন ২০২৫ তারিখে জাজিরা এয়ারওয়েজে ফ্লাইট বুকিং করেন। ওই টিকিট অনুযায়ী ২ জুলাই তার ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কুয়েত হয়ে সৌদি আরবের কাসিম যাওয়ার কথা ছিল। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউনুস শেখের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক ইউনুস শেখ ইন্দুরকানীর চন্ডিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর বলেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা। র্র্যাব রাতে মোহাম্মদপুর থানায় ইউনুস আলীকে সোপর্দ করেন। সেখান থেকে ইউনুসকে মঙ্গলবার সকালে ইন্দুরকানীতে নিয়ে আসেন এস আই সাখাওয়াত, এএসআই আনোয়ার, সঙ্গীও ফোর্স মোঃ মামুন হোসেন ও মোঃ মশিউর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন রাত ১১টার দিকে চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ও তার ভাবী মুকুলী বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই হামলায় শহিদুলের স্ত্রী রেহেনা বেগম গুরুতর আহত হন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনুস শেখ তার স্ত্রীর সঙ্গে শহিদুল ইসলামের পরকীয়ার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে সন্দেহ করতেন, যার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, “প্রধান আসামিকে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে র্যাবের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার রাতেই মামলার আসামী ইউনুস আলীর ভাই রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ”