আগামী ৭ জুন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ বাসীকে কে শুভেচ্ছা জানান, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রাশেদুল হাসান রঞ্জন।
শনিবার ( ৩১ মে) তার ভেরিফাই ফেসবুকে পোস্ট করে সিরাজগঞ্জবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানান।
রাশেদুল হাসান রঞ্জন ছাত্র রাজনীতি থেকেই বিএনপি করেন। তার ছাত্র রাজনীতির সময় সাবেক কিছু গুরুত্বপূর্ণ
. পরপর দুইবার এ জি,এস, সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদ।
২. পরবর্তীতে জি.এস. (ইতিহাসের সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত), সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রসংসদ।
৩. সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ ১১ বছর সততার সহিত দায়িত্ব পালন।
৪. পরবর্তীতে সরাসরি বিএনপি’র রাজনীতিতে পরপর দুইবার জেলা বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন।
৫. পরবর্তীতে জেলা বিএনপি’র যুগ্য-আজহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন।
৬. জেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৩নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন।
৭. বর্তমান জেলা বিএনপি’র ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন।
রাজনৈতিক মামলা: ১৯৮৭ সালে জীবন থেকে শুরু করে একানয়ক এরশাদ এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে ২ শতাধিক। বর্তমানে ৭০ এর অধিক চলমান।
জেলা জীধন: স্বৈরাচার এরশাদকে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে হেলিকাপ্টার থেকে নামতে বাধ্য দেওয়ায় ১৯৮৭ সালে এস.এস.সি, পরীক্ষার দিয়ে রেজাল্টের আগেই পাবনা জেলে যেতে হয়। এ সময় পাবনা জেলে বর্তমান রাষ্ট্রপতি, সাবেক একাধিক এমপি-মন্ত্রীদের সাথে জেলজীবন। সেই থেকে শুরু। আজ অরবি সময়ের হিসেবে ৩০ বারের অধিক জেলেই কাটানো। গর্ব করে বলা যায়, সিরাজগঞ্জের রাজনৈতিক ইতিহাসে সকল দলের সব নেতার তুলনায় সর্বোচ্চ সময় জেলে কাটানোর ইতিহাস।
সামাজিক-রাজনৈতিক অর্জন:
১. ছাত্রজীবনে মানুষ ভালোবেসে এবং জনপ্রিয়তা দেখে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা উপাধিতে ভূষিত করে।
২. সিরাজগঞ্জের যেকোনো সাধারণ জনগণ কিংবা বিএনপির নেতাকর্মীদের আস্থা-বিশ্বাস অনি- যার প্রধান কারণ, প্রায় চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে কোনো ধরনের আর্থিক কেলেজারির কিংবা কোনদিন এক বারের জন্যেও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার রেকর্ড নেই।
৩. ১৯৯৬ এ আমার নেতা, সাবেক এমপি মির্জা মুরাদুজ্জামানের মৃত্যুর পরে উদ্ভুত পরিস্থিতি কিংবা এক-এগারো পরবর্তী টালমাটাল সেই সময়ে অনেকেই অনেক দিকে ছোটাছুটি করলেও, দলের মূলধারার বাইরে কখনো যাইনি, বরং কিছু সময় একদম একা হাতেই ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।
৪. সর্বোপরি, শহীদ জিয়ার আদর্শ ধারণ করা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনীতি করে সিরাজগঞ্জে বিএনপির রক্তন পরিচয়ে পরিচিতি হয়ে উঠতে পারাই সবচেয়ে বড় অর্জন বাল্যে মনে করি।
রাশেদুল হাসান রঞ্জনের কিছু কথা:
১। ফুলটাইম রাজনীতিকেই আমি আমার জীবনসারা হিসেবে বেঁছে নিয়েছি।
২. ছাত্রসংসদ নির্বাচন করার জন্য আমাকে বি-এডমিশন নিতে দল থেকে বলা হয়, যার কারণে আমি ডিগ্রী পরিক্ষা না দিয়ে রি-এডমিশন নিয়ে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করি। দুঃখের বিষয় সেদিন আমাদের প্যানেলের বিজয় নিশ্চিত দেখে ছাত্রলীগ কলেজে বোমাবাজি করে নির্বাচন ভন্ডুল করে দেয়। তারপরে আমি গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার কারণে আর ডিগ্রী পরীক্ষা দেওয়া হয়নি।
৩. শুধুমাত্র আমার একটি বভ্যবের কারণে আমাকে প্রধানমন্ত্রী হত্যার হুমকির দ্বায়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয় এবং আমার সহধর্মিণীকে দীর্ঘ ১৫ বছর সিরাজগঞ্জ পৌরসভার চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৪. আমার বড় ভাই তৎকালীন পাবনা জেলা মহকুমা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং মওলানা ভাসানীর সাথে রাজনীতি করেছেন। আমার ছোট ভাই ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজের জি এস, নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমার বড় ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির সহ-সমাজসেবা সম্পাদক এবং জুলাই ২০২৪ এর বৈষম্যবিরোধী ও ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে ক্যাম্পাসে অন্যতম ভূমিকা পালনকারী ছাত্রনেতা।
৫. বিএনপির ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত সিরাজগঞ্জ শহরের ধানবান্ধি মহল্লায় বেড়ে উঠে জাতীয়তাবাদের ঝান্ডা হাতে রেখেছি আমাদের পুরো পরিবার।
৬. গত বছর প্রধানমন্ত্রী কে হত্যার হুমকি দেওয়ার বানোয়াট মামলায় কোরবানির ঈদ কারাগারে পালন করি। এছাড়াও মুলিবাড়ী চেকপোস্টের ট্রেনে আগুন দেওয়ার ভয়াবহ মামলা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে হওয়া মামলা সহ প্রায় সফল মামলায় আমাকে রাখা হয়েছে শুরুর দিকের আসামী।
৭. বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে অংশগ্রহণ ও ছাত্রদের সহায়তা করায় ১৭ জুলাই রাতে সহ এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আমার বাড়িঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে , আমার প্রত্যাশা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও একটিভ চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের কাছে অনুরোধ যেন আমার বিষয়ে যে মিথ্যা বৃত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে এ বিষয়ে সুস্থ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেন। আমাকে যে মিথ্যা অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে তার যেন সুস্থ তদন্ত করে, বহিষ্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানাই।