টেকনাফের সেন্টমার্টিন ছেঁড়াদ্বীপে ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৮৫ বোতল বিদেশী মদ ও ৩৩৫ ক্যান বিয়ার জব্দ এবং লম্বরি ঘাট হতে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচার কালে খাদ্যসামগ্রী ও মাদকদ্রব্যসহ ১৯ জন পাচারকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৩) দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপ হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাচার হবে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ আনুমানিক ০৩০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন অধিনস্থ বিসিজি স্টেশন সেন্টমার্টিন কর্তৃক টেকনাফ থানাধীন সেন্টমার্টিন ছেঁড়াদ্বীপ এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন ছেঁড়াদ্বীপ কেয়াবনের মধ্যে পাঁচারের উদ্দেশ্যে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় ৩১ টি ধূসর রংয়ের পরিত্যাক্ত বস্তা দেখতে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে কোস্ট গার্ড সদস্য কর্তৃক বস্তাগুলো তল্লাশী চালিয়ে ১ কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৮৫ বোতল বিদেশী মদ ও ৩৩৫ ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়। উক্ত স্থানে কোন পাচারকারী না থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ (আইস), বিদেশী মদ ও বিয়ার পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় টেকনাফ থানাধীন লম্বরি ঘাট হতে কাঠের বোট যোগে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য ও তৈল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচার করা হবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার আনুমানিক ০৩৪৫ ঘটিকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন অধিনস্থ বিসিজি স্টেশন টেকনাফ কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন টেকনাফ লম্বরি ঘাট হতে কয়েকটি কাঠের বোটকে মায়ানমারের উদ্দেশ্যে গমন করতে দেখা যায়। এসময় কোস্ট গার্ড সদস্য কর্তৃক উক্ত বোটগুলোকে ধাওয়া করে আটক করা হয় এবং বোটগুলো তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক ফাকি দিয়ে মায়ানমার পাচারের উদ্দেশ্যে বোটে রাখা ১৫ বস্তা শুকনা মরিচ, ৪০ বস্তা পেয়াজ, ০১ বস্তা তামাক পাতা, ০৩ বস্তা টেস্টিং সল্ট, ১৮২১ লিটার অকটেন, ৩৭৫২ লিটার সয়াবিন তেল, ১৩৬ লিটার ডিজেল সহ ১৯ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে জব্দকৃত মালামাল ও আটককৃত ব্যক্তিদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ কাস্টমস ও টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।