বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কয়রা উপজেলার আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ খ্রি . খুলনা জেলা আহ্বায়কের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্রে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে তাঁর এই পদত্যাগকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে, বিশেষত ফ্যাসিবাদ নির্মূলের দৃঢ় প্রত্যয়ের বিষয়টি নিয়ে।
পদত্যাগপত্রে গোলাম রব্বানী উল্লেখ করেছেন যে, তিনি এতদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কয়রা উপজেলার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন এবং ব্যক্তিগত কারণে এই পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর যখন দেশ অচল অবস্থায় ছিল, তখন কয়রা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, শান্ত পরিবেশ বজায় রাখা এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কয়রা উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গোলাম রব্বানী এই সময়ে সংগঠনটির নেতৃত্বে থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন।
গোলাম রব্বানীর পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে কয়রা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মারুফ জানান, “আমাদের এই প্ল্যাটফর্মটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সদ্য সাবেক আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী ভাই সম্ভবত নতুন কোন রাজনৈতিক সংগঠনে যোগদান করে আগামীতে কয়রা তথা দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ফ্যাসিবাদ নির্মূলে তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।” তিনি আরও বলেন, “তাছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে যারা রাজনীতি করতে ইচ্ছুক, তারা সকলেই হয়তো পদত্যাগ করবেন।” গোলাম রব্বানীর এই পদত্যাগ এবং মারুফের বক্তব্যে এনসিপিতে তাঁর সম্ভাব্য যোগদানের বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে এটি একটি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, গোলাম রব্বানীর এই পদক্ষেপ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।