ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল কম দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদে পর্যবেক্ষণে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি হাবিবুল্লাহ হাবিব থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, সরকারি বরাদ্দের ১০ কেজি করে চাল দরিদ্রদের দেওয়া হচ্ছে কি না, তা যাচাই করতে তারা ইউনিয়ন পরিষদে যান। সেখানে বেশ কয়েকজন সুবিধাভোগীর চাল মাপ দিয়ে দেখা যায়, কেউ কেউ ৭ বা ৮ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। এ সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে নোয়াবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের নির্দেশে তার লোকজন হাবিবুল্লাহ ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে হাবিবুল্লাহর নাক-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় তার মোবাইল ফোনও। ঘটনার সময় আনন্দ টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি ভিডিও ধারণ করছিলেন। তাকেও মারধর করে মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহমুদ মোরশেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলছেন, সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত সহায়তা নিয়ে যারা দুর্নীতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এমন ঘটনা বাড়বে।