পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের (ধরন) দু-একটি সাব-ভ্যারিয়েন্টের (উপ-ধরন) সংক্রমণ বাড়ছে। বাংলাদেশেও নতুন একটি উপধরনের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যে সংক্রমণ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর নতুন টিকা। বিশেষ করে যে টিকাগুলো ২০২৪-২৫ সালে উৎপাদিত হয়েছে। এমন তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন টিকাগুলো করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর। তবে নতুন টিকা না থাকলে পুরোনো টিকা নিয়েও এটি প্রতিরোধ করা যাবে।
সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।
দেশে প্রবেশের পথের জন্য নির্দেশনা:
১. দেশের বিভিন্ন স্থল/নৌ/ বিমানবন্দরগুলোতে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কসমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেইল্যান্স জোরদার করুন।
২. দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিসমূহে থার্মাল স্কান্যার/ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।
৩. চিকিৎসাকাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখুন (পিপিই)।
৪. ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাগুলো প্রচার করুন।
ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট কিনুন
৫. জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সবার জন্য সাধারণ পরামর্শ:
১. সাতবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)।
২. নাক-মুখ ঢাকায় জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে
৪. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না
৫. হাঁচি-কাশির সময় বাহু/টিস্যু/ কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়:
১. অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
২. রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
৩. প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)।