কলাপাড়ায় অনুষ্ঠিত হলো “পরিবর্তন প্রকল্প”-এর সমাপনী মূল্যায়ন ভেলিডেশন সভা। বুধবার (২৮ মে) বেলা ১১ টায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ (WCB) ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ড্রীম কনসালটেন্সির যৌথ আয়োজনে উপজেলা পরিষদের পায়রা হলরুমে আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রম, অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
ড্রীম কনসালটেন্সির প্রধান উপদেষ্টা মীর মুহামাদ আলী সভায় প্রকল্পের চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “দুর্যোগ-প্রবণ উপকূলীয় এলাকায় ‘পরিবর্তন প্রকল্প’ বসবাসরত মানুষের জীবনে কার্যকর পরিবর্তন এনেছে। বিশেষ করে বিকল্প জীবিকা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, সামাজিক সম্পৃক্ততা ও জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে এই প্রকল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে।”
তিনি আরও জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে এবং ভবিষ্যতে এই অভিজ্ঞতার আলোকে আরও বিস্তৃত ও টেকসই প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশের কলাপাড়া প্রকল্প ব্যবস্থাপক এলিয়াস মুর্মু বলেন, “এই অঞ্চলের কৃষিনির্ভর মানুষ আজ বিকল্প জীবিকার দিকে ঝুঁকছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের সহায়তায় বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “২০২৫ সালের জুন মাসে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ভবিষ্যতেও ওয়ার্ল্ড কনসার্ন এই এলাকায় কাজ চালিয়ে যেতে আগ্রহী।”
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিপিপি’র সহকারী পরিচালক আসাদউজ্জামান খান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা স্বপন কুমার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তাসলিমা আখতার, ড্রীম কনসালটেন্সির মীর মুহাম্মদ আলী ও ডিআরআর বিশেষজ্ঞ এলিস অরুণ মজুমদার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের এনজিও প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা, যাদের মধ্যে ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার পায়েল দাস ও মনিটরিং অফিসার বিধান বিশ্বাস।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের সম্প্রসারণ ও দীর্ঘমেয়াদি টেকসই উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।