কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ জিয়ার হোসেন (৪৫) মারা গেছেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহতের ছোট ভাই ইয়ারুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নাগরিক ভাবনা পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নিহতের আরেকভাই আলতাফ হোসেন। তাঁরা উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বের কালোয়া গ্রামের কেঁদো শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় এলাকায় আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নৌকার সমর্থকেরা ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, বের কালোয়া গ্রামের সাবেক মেম্বর আব্দুল খালেকের সঙ্গে কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পদ্মা নদীতে মাছ ধরা, যেকোনো নির্বাচনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে বের কালোয়ারা মোড়ে দুপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা ধীন ছিল।
পরে জিয়া নামে একজনের অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রিফার্ট করেন সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত্যুর খবর শুনেছি। হামলার ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’