কুড়িগ্রাম জেলায় রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রতিগ্রাম বাজার ও রতিগ্রাম বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট বরাবর দক্ষিণ পার্শে মৃত হায়দার আলীর পুত্র মশিউর রহমানের বাঁশ বাগানে চলছে রমরমা জুয়া। সরেজমিন গিয়ে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় গত ০৫ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখের পর থেকে উল্লেখিত স্থানে সকাল থেকে সন্ধা ও রাত ১০ টার পর থেকে রাতভর চলে রমরমা জুয়া খেলা উক্ত জুয়ার আসর পরিচালনা করে আসছেন বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন যুবদলের আহব্বায়ক মোঃ এরশাদুল হক, তার ছোট ভাই খোরশেদ আলম, ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মোঃ শিমুল রানা, ও আওয়ামীলীগের সক্রিয় সদস্য ( শিমুল রানার) তার মামা বাবুল সোনার,বড় ভাই পোলিন মিয়া, যুবদলের ওয়ার্ড কমিটির লুতফর রহমান (আতিক),আমজাদ, জিয়া। শিমুলের বড় ভাই পোলিন বিগত দিনে গাজীপুর কোনাবাড়ীতে গার্মেন্টসে চাকরী করলেও এবছরের জানুয়ারি মাসে চাকুরী ছেড়ে গ্রামে এসে ছোট ভাইয়ের সহিত জুয়ার বোর্ড সহ সকল অপকর্মে জড়িত হয়ে সংসার চালাচ্ছেন,এদের সকলের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানা, কুড়িগ্রাম অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প,পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম সহ অনেক জায়গায় চাঁদাবাজি, দখলদারী,ত্রাস,হামলা, মামলা বানিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী জানায় জুয়া খেলতে নিষেধ করলে শিমুল রানা জানায় আমরা থানা কন্ট্রাক্ট এর মাধ্যমে টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে জুয়ার বোর্ড পরিচালনা করি আপনারা যাকে খুশি বলেন সমস্যা নেই জুয়া বন্ধ করা হবেনা কোন সমস্যা হলে থানা থেকে আমাদের কে আগেই জানিয়ে দিবে কেউ আমাদের ধরতে পারবেনা। গ্রামবাসী আরও জানান এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র ০৫ আগষ্ট ২০২৪ এর পর এরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং এলাকায় চাঁদাবাজি, ভূমিদখল,মামলাবাজী,
মাদক কারবারী জুয়ার আসর, ত্রাস সহ নানা রকমেের অপরাধ মুলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে চক্রটি সাধারন জনগন প্রতিরাদ করলে তাদেরকে মামলার হুমকি, মারধর চাঁদাদাবী ও দলীয় পরিচয়ে বিভিন্ন রকম ভয়-ভীতি দেখাইতে থাকে। এলাকাবাসী মোঃ সবুজ মিয়া,রফিকুল ইসলাম, আঃ রাজ্জাক,হাবিব সরকার,নূরুজ্জামান,আঃ হাই,আনোয়ার হোসেন,মহসিন,আনিছুর, হারুন অর- রশিদ,আজাদ আলী,সহ আরো অনেকে জানান চক্রটি বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি উক্ত স্থানে জুয়া বসিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহীনির চোঁখে ফাঁকি দিয়ে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে প্রকাশ্য জুয়া খেলা পরিচালনা করে দৈনিক দিন ভেদে ৩/৫/১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সেখান থেকে দৈনিক জমির ভাড়া বাবদ ৫০০/- প্রতিদিন পাচ্ছেন বাঁশঝাড় মালিক ও এরশাদুল শিমুলের ঘনিষ্ঠ ভাই মশিউর রহমান। এভাবে চক্রটি এলাকার যুব সমাজকে ধংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহীনি উক্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে জুয়া বন্ধ সহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তা নাহলে এলাকার যুব সমাজ ধংসের দিকে চলে যাবে বলে এলাকাবাসী আশংকা করছেন।