পৌষের শিরশিরে হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত উপেক্ষা করে কেন্দুয়ায় বোরো ধানের চারা লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা।
এ অঞ্চলে সাধারণত আউশ, আমন,গম ও বোরো ধানের প্রচুর আবাদ হয়ে থাকে। নীচু জমি যেমন খাল-বিল ঘেষা রয়েছে সেসব জমিতে আগাম চাষ দিয়ে সেচের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন করা হয়। রবি মৌসুমে পৌষ-মাঘ দুই মাস বোরো ধান রোপনের উপযুক্ত সময়।
মোজাফফরপুর ইউনিয়নের জালিয়ার হাওর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে কাঁদা-মাটি পানিতে বসে বোরো ধানের চারা উঠাচ্ছেন সলিম উদ্দিন নামের এক কৃষক । পাশেই ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
রাসেল নামের এক কৃষক জানান, প্রতি কাঠা জমি চাষ করিয়েছেন ৪০০ টাকা করে। ৫০০ টাকা কাঠা চুক্তিতে শ্রমিক দিয়ে ধানের চারা রোপনের কাজ করানো হচ্ছে। মটর চালিত পাম্প হতে পানির ব্যবস্থা থাকায় সহজেই ক্ষেতে সেচ দিতে পারছেন।
উপজেলার সর্বত্রই গত কয়েকদিন যাবৎ ঘন কুয়াশা ঘেরা বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও ট্রাক্টর চালিয়ে ক্ষেত তৈরী করে কৃষকরা বোরো ধান রোপন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে। মৌসুমের শুরুতেই উঁচু জমিতে সেচের মাধ্যমে আগাম চারা রোপন করেছেন কৃষকরা।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চলতি রবি মৌসুমে কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভায় ২০ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। বীজতলা করা হয়েছে ১০৫০ হেক্টর জমিতে। অধিক ফসল উৎপাদনে বোরো আবাদে কৃষকদের আরও উৎসাহী ও সহযোহিতার লক্ষে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে ৯৩০০ জন কৃষককে চাষ করার জন্য বোরো হাইব্রীড ২ কেজি বীজ, উফসী জাতের জন্য ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সরকারী প্রনোদনা হিসাবে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর সরকারী প্রনোদনার বোরো বীজ ও সার ৯৩০০ জন কৃষককে দেওয়ায় বাজারে সার ও বীজ নিয়ে কোন কৃত্রিম সংকট তৈরী হয়নি। ফলে উপযুক্ত সময়ে বীজতলা তৈরীতে কৃষকদের কোন সমস্যায় পরতে হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোরো রোপনের লক্ষমাত্রা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।