গভীর রাতে বসতবাড়ি ও দোকানে হামলা, ভাংচুড় ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের কালিয়ান গ্রামে। ঘটনার পর হুমকির মুখে তারা প্রশাসনের নিকট অভিযোগও দিতে পারছিলেন না।আজ রবিবার ক্ষতিগ্রস্তরা কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। তাদের অভিযোগ, গত ০৭ আগস্ট রাত অনুমান ২ টার দিকে কালিয়ান গ্রামের জিয়া রহমানের বসতবাড়িতে রাজনৈতিক প্রতিহিঃসার কারণে একই গ্রামের আলী ইসলামের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন লোক বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বসত বাড়িতে এসে হামলা চালায়।
জিয়া রহমানের স্ত্রী মজিদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী যুবলীগের রাজনৈতির সাথে জড়িত আছেন। এজন্যই তারা আমাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এক পর্যায়ে তারা সুকেশের তালা ভেঙ্গে ব্যবসার জন্য রক্ষিত নগদ দুই লক্ষাধিক টাকা ও দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। হামলাকারীরা মজিদার শাশুড়ির বসত ঘরেও হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। মজিদার শাশুড়ি তাদের দোহাই দিলেও তারা বারি দিয়ে ডান হাতটি ভেঙ্গে ফেলে। যাবার সময় লক্ষ্যধিক টাকা ও একটি গাভী গরু নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন জিয়া রহমান।তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। আজ পালিয়ে পালিয়ে অভিযোগ দিতে এসেছি।
কারণ হামলাকারীরা বলেছেন, যদি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা দেই তাহলে আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে এবং ভিটে ছাড়া করবে। এদিকে একই রাতে সোয়া ২ টার দিকে আবুল হোসেন মরিচপুর গ্রামের রুহুল আমিন (৩৫), গোলাপ মিয়া (৪৩), আবু হানিফ (৪২), অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৪০ জন আবুল হোসেনের দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবুল হোসেন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।তিনি দাবি করেন, তার দোকানে হামলা চালিয়ে ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। আবুল হোসেন জানান, তিনি ঘটনাটি কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন। সার, কীটনাশক, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির বিচার দাবি করেন তিনি।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ তদন্ত করে সত্য প্রমাণিত হলে দূর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে আলী ইসলামের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।