কেরানীগঞ্জের আরশিনগরে প্রকৌশলী সদরুল আলম ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও এই মামলার তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানের কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্যটি জানান তিনি । গ্রেফতারকৃত আসামিরা হল আলামিন (২২), মো. শুভ (২৪) ও রিমন হোসেন (২৬)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, নিহত প্রকৌশলী সদরুল আলম আরশিনগর এলাকায় ইউনুস মিয়ার বাড়ির ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাট বাসায় ভাড়া থাকতেন। মাঝে মাঝে তার স্ত্রী বেড়ানোর জন্য ওই বাসায় আসতেন। তিনি তাসিফ করপোরেশন পিটিই লিমিটেডে সেলস এন্ড সার্ভিস ডিপার্টমেন্টে ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন। গত ১২ আগস্ট তিনি একাই বাসায় ছিলেন। রাত আনুমানিক ১২টার সময় বাসার ফ্ল্যাটের ভ্যান্টিলিটার ভেংগে আল আমিন নামে এক চোর ঘরে প্রবেশ করে। আর শুভ ও রিমন বাসার সামনে পাহাড়ায় ছিল। এসময় প্রকৌশলী সদরুল আলম হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখতে পান যে তার ঘরের ভিতর চোর। এসময় তিনি চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকে। এতে ওই চোর তাকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে ওই ভ্যান্টিলিটার দিয়েই পালিয়ে যায়। পরে ফ্ল্যাটের মালিক খবর পেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে সংবাদ প্রদান করলে কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিডফোর্ট) হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
এ ঘটনায় কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় ভিসিষ্টের আপন বড় বোন মোসা. রেবেকা সুলতানা রত্না বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমে আলামিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার অপর দুই সহযোগি মো. শুভ ও রিমন হোসেনকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা মোহাম্মদপুর এলাকায় বসবাস করত। তারা দিনের বেলায় ভ্যান নিয়ে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রেকি করত এবং সুযোগ বুঝে রাতের বেলা চুরি করে বেড়াত। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।