1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আমতলীতে ব্যবসায়ী মারধরের শিকার বেরোবিতে ‘কোয়ান্টাম কেমিক্যাল ক্যালকুলেশন ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত শত বছরের পুরোনো ভাসমান নৌকার হাটে বেচাকেনা জমজমাট পরশুরামে সড়কে মোটরসাইকেলকে জায়গা না দেয়ার অভিযোগে টমটম চালককে চার ভাই মিলে মারধর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এলাকা পরিদর্শনে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ পড়ে আছে অচল — চাঁদা না দেওয়ায় বঞ্চিত সাধারণ জনগণ শিবগঞ্জে আইন শৃংখলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত পরশুরামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের মৎস খাদ্য সহায়তা কক্সবাজারের রামুতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা –ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু আহত ৯ কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক নাহিদা আক্তারের বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ পড়ে আছে অচল — চাঁদা না দেওয়ায় বঞ্চিত সাধারণ জনগণ

এস এম নাছির উদ্দীন
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ-১০ আসনের গফরগাঁও উপজেলার ১নং রসুলপুর ইউনিয়নে সরকারি অর্থায়নে কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী চাঁদা দাবি করায় উন্নয়ন কাজের পরেও জনগণের ব্যবহার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে রসুলপুর আমলীতলা বাজারে নির্মিত হয় একটি বড় বাজর, একটি মার্কেট ব্যবস্থা । এসব প্রকল্পে প্রায় কয়েক কোটি টাকার সরকারি বরাদ্দ ছিল। কাজ শেষ হওয়ার পর সাধারণ মানুষ এগুলো ব্যবহার করতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন। কেউ চাঁদা না দিলে মার্কেটের দোকার ব্যবহার করতেও বাধা দেওয়া হয়।

একজন স্থানীয় ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
“বাজেরের মাঝে যেতেও বাধা দেয় ওরা। ঘর নিয়ে ব্যবসা করিবো কি ভাবে? বলে, আগে চাঁদা দেন। এটা কী উন্নয়ন? এটা তো ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়ন কাজের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি সম্পদ এখন হয়ে উঠেছে একটি চাঁদাবাজ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণাধীন।

এ বিষয়ে রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য জানান,
“আমরাও এসব বিষয় শুনছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। জনগণের সম্পদ জনগণের ব্যবহারের জন্যই।”

গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) দপ্তর থেকেও এখনো দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

এ প্রসঙ্গে একজন স্থানীয় সমাজকর্মী বলেন,
“যেখানে জনগণের করের টাকায় উন্নয়ন হয়, সেখানে চাঁদা না দিলে সেই উন্নয়ন ব্যবহার করা যাবে না — এটা সভ্য সমাজে অকল্পনীয়। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া।”

এখন প্রশ্ন উঠেছে — উন্নয়নের নামে কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও যদি জনগণ সেবা না পায়, তাহলে কার জন্য এই উন্নয়ন? এবং এই চাঁদাবাজি চলতে থাকলে আগামী দিনে সাধারণ মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com