খুলনার কয়রা উপজেলায় গ্রাম আদালতের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে দুই দিনব্যাপী এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কর্মশালা বৃহস্পতিবার (২২ মে) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ ও বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যরা এই কর্মশালায় অংশ নেন। গতকাল বিকাল ৩টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে বক্তারা গ্রাম আদালতকে আরও সক্রিয় করার ওপর জোর দেন, যা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আইনি সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।
গ্রাম আদালতের গুরুত্ব ও দায়িত্ব:সমাপনী বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “গ্রাম আদালত সক্রিয় হলে গ্রামীণ জনপদের মানুষ দ্রুত ও সহজে আইনি সেবা পাবে। এক্ষেত্রে সকল ইউপি চেয়ারম্যানসহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।”অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ জিএম ইমদাদুল হক, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, মহিলা বিষয়ক অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান এবং যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ রেজাউল করিম। বক্তারা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তির গুরুত্ব এবং এর ফলে গ্রামীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ইউপি সদস্যরা গ্রাম আদালতের কার্যপ্রক্রিয়া, আইনগত দিক এবং নাগরিকদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তাদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছেন। আশা করা হচ্ছে, এই প্রশিক্ষণ কয়রার গ্রাম আদালতগুলোকে আরও গতিশীল করে তুলবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করবে।