খুলনার কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা এবং মানহানিকর অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনি নিজেই বাদী হয়ে কয়রা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন, যার নম্বর ৬১৭, তারিখ ১৫-০৭-২০২৫।
সম্প্রতি ‘প্রতিদিনের খবর’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে মাওলানা মিজানুর রহমানকে জড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এতে তার রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে। অপপ্রচারমূলক ওই পোস্টে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শরিফুল আলমকে প্রতিবেদক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি জনগণের জন্য কাজ করি। একটি কুচক্রী মহল আমার কণ্ঠ রোধ করতে এবং আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ তিনি অজ্ঞাতনামা ওই ফেসবুক আইডির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অপপ্রচার না ঘটে, সে জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কয়রা উপজেলা জামায়াত ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এই মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন, মাওলানা মিজানুর রহমান একজন আপোসহীন ও জনদরদী নেতা। তার বিরুদ্ধে এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শরিফুল আলম বলেন, ‘মাওলানা মিজানুর রহমান একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমাকে প্রতিবেদক বানিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।’
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি এম ইমদাদুল হক বলেন, ‘উক্ত আইডি থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।