পটুয়াখালী গলাচিপায় সুদি কারবারীর টাকা পরিশোধ করতে না পেরে চিরকুট লিখে বই ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন কলেজ পাড়া সড়কের পাশের দোকানে। পুলিশ গলাচিপা হাসপাতাল রোডে খোকন দাসের মালিকানাধীন খোকন লাইব্রেরি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। তিনি মৃত্যু মানিক লাল দাসের সন্তান।
গলাচিপা থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা হাসপাতাল রোডের বই ব্যবসায়ী খোকন দাস (৫৫) কয়েক বছর আগে পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈকা হালিমা বেগম ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রেখা বেগমের কাছ থেকে আনুমানিক দেড় লাখ টাকা সুদে আনেন। খোকন দাস সময় মতো সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারলে তাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে সুদ কারবারীরা। সকাল ৮টার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোকন দাসের কোন খোঁজ পায়নি পরিবারের লোকজন। অনেক খোঁজার পর রাত ১১টার দিকে চাচাতো ভাইর ছেলে গোপাল দোকানের শাটার টেনে ভিতরে খোকনকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ খোকনের লাশ উদ্ধা করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ খোনের হাতের মধ্যে একটি চিরকুট উদ্ধার করে। চিরকুটে দুইজন পাওনাদারের নাম লেখা ছিলো এবং তারা খোকনকে অতিষ্ঠ করায় আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখে গেছেন।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশাদুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী খোকন দাসের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়ছে। তার হাতে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। আমরা চিরকুটের বিষয়টি গরুত্ব দিয়ে দেখছি। এ ঘটনায় এখন একটি ইউডি করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন আসলে মামলা গ্রহণ করা হবে।