চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে লিফট পরিচালিত হওয়ায় জেলার মুমূর্ষু রোগীরা মারাত্মক সমস্যা সম্মুখীন হতে দেখা গেছে।
জেলার এই সরকারি হাসপাতালটির নতুন বহুতল ভবনটিতে দুইটি লিফটের মধ্যে একটি চালু থাকলেও সময় সময় আটকে থাকে এক থেকে তিন ঘন্টা পর্যন্ত। রোগীদের নিয়ে লিফটের দরজার পাশে ঘুমিয়ে যেতেও দেখা যায়। একজন হাসপাতাল স্টাফ বলেন, সেন্সর কাজ করছে না। ভুক্তভোগী দের প্রশ্নের জবাবে আর একজন স্টাফ বলেন, প্রতিদিন লিফট টেকনিশিয়ান আসে কিন্তু কোন কাজ হয় না। লিফট টিকে পরিচালনার জন্য কোন স্থায়ী পাহারাদার বা টেকনিশিয়ান না থাকায় ধারণ ক্ষমতার বেশি লোক উঠে পড়ার ফলে এমনটি হয় বলে জানান দায়িত্বরত স্টাফরা। একজন ভুক্তভোগী রুগী আক্ষেপ করে বলেন, হাসপাতাল অচল হলেই তো ডাক্তারদের লাভ , প্রাইভেট হাসপাতাল গুলো তো চালু আছে, সেখানে লিফটের সমস্যা নেই, টেকনিশিয়ান সমস্যা নেই।
লিফট ব্যবস্থা হচ্ছে একটি হাসপাতালের জন্য জরুরি বাহন। এটিকে সঠিকভাবে পরিচালিত করা অত্যন্ত জরুরী। এদিকে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দিয়ে স্থায়ীভাবে লিফটের সাথে দক্ষ টেকনিশিয়ান নিয়োগ করে সার্বক্ষণিক লিফট পরিচালনা করা হলে জেলার রোগীদের জরুরী সেবা নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এখানে উল্লেখ্য, হাসপাতালের খুব স্পর্শ কাতর গাইনী ওয়ার্ড টি হচ্ছে ভবনের ৭ম তালায় যেখানে ডেলিভারি রুম টিও অবস্থিত। বাইরে থেকে প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে ডেলিভারি করাতে এসে লিফট একমাত্র বাহন এর বিকল্প হয় না।
জনবহুল এ জেলার মুমূর্ষু রোগীদের সেবায় লিফট ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান