1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালী-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ কলাপাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রবাসী নারীর মৃত্যু, আহত-২ লালমনিরহাট ১ আসনের পলাতক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের গাড়ী স্থানীয়দের ধাওয়ায় আটক রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিবেশ উপদেষ্টার প্রত্যক্ষ পরিদর্শন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি ২৮ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিন দাবি নিয়ে জনতার মহা সমুদ্র ঘটাতে চায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অংশগ্রহণে ব্যাপক প্রস্তুতি সুনামগঞ্জ জেলা ইসলামী আন্দোলনের স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করায় লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের উপর হামলা কবিতা সেই কালো রাত বিএনপি নেতা রাশেদুল হাসান রঞ্জনের পাটগ্রামে ট্রাকচাপায় এক পথচারীর নিহত

ছয় সন্তানের জননীর মৃত্যুর পর দাফন হল প্রতিবেশীর বাড়িতে

md sane
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে
বরিশালের বাকেরগঞ্জে ছয় সন্তানের জননীর মৃত্যুর পর দাফন হল প্রতিবেশীর বাড়িতে, মায়ের লাশ দেখতেও আসেনি তার ছোট ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক মসজিদ ইমাম ফিরোজ আলম। আর এই হৃদয়বিদারক এক ঘটনার জন্ম হয়েছে বাকেরগঞ্জ পৌর সভার ৮ নং ওয়ার্ডে।
উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদিস গ্রামের আব্দুল মান্নান হাওলাদারের স্ত্রী মৃত রাবেয়া বেগম। নদী ভাঙ্গনে আব্দুল মান্নান হাওলাদার কলসকাঠী গ্রামের বাড়িটি হারিয়ে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রুনশি এলাকায় জমি ক্রয় করে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। আর সেই বাড়িতেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
আব্দুল মান্নান হাওলাদারের বড় কন্যা রিনা বেগম জানান, আমার ছোট ভাই ফিরোজ আলম দুমকি উপজেলার চর গরবদী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামতি করেন। গত ২০ বছর আগে মাদ্রাসা শিক্ষক ফিরোজ আলম সহজ সরল বাবার কাছ থেকে বাড়িসহ সব সম্পত্তির দলিল লিখে নেয়। এরপর ওই বাড়ি থেকে ভাই মা ও বোনদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর অন্যান্য ভাই-বোনরা ভূমিহীন হয়ে পড়ে। অনেকে এখন বসবাস করছেন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে।আমাদের অন্যান্য ভাই-বোনদের নিজস্ব কোন সম্পত্তি নাই। এ নিয়ে ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে আমরা একাধিক মামলাও করেছি। এরপর থেকে মা আমার কাছেই থাকতেন। তাই মায়ের মৃত্যুর পরে ফিরোজ আলম মাকে দেখতে আসেনি। মা দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ১১জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পরে আমার ভাই ফিরোজ মায়ের লাশ দেখতে আসেননি। একদিন পার হয়ে গেলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এলাকার সহানুভূতিশীল প্রতিবেশী হায়দার ফকির মানবিক দিক বিবেচনায় তার নিজের জমিতে মায়ের দাফনের ব্যবস্থা করে দেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মসজিদ ইমাম, ফিরোজ আলম জনকণ্ঠকে জানান, আমার ভাই বোনদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলে আসছে। মা তাদের কাছেই থাকতো। তাই ভয়ে মায়ের লাশ দেখতে যায়নি।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com