1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পবিপ্রবিতে কোর্স ফর রোভার মেট ‘২৪ সম্পন্ন মিঠাপুকুরে বাঁশের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ লোহাগাড়া প্রেসক্লাব’র নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের শপথ গ্রহণ সম্পন্ন রাবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে পরিচালক পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান হিলিতে ইউনিয়ন বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ে কর্মীসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে কর্মসূচীর নামে মানহানীর চেষ্টা, সর্বত্র প্রতিবাদের ঝড় দৌলতখানে ফসলের মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন ধানের শীষ, স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে কৃষকেরা চিরিরবন্দরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সাক্ষীগণের সংবাদ সম্মেলন পবিপ্রবিতে গভীর রাতে র‌্যাগিং নির্যাতন, আহত ৫ শিক্ষার্থী

জবি শিক্ষার্থী মিহির’স জিকের লেখক মোত্তালিব বিসিএস ক্যাডার

আরাফাতুল হক চৌধুুরী
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোত্তালিব মিহিরকে সর্বশেষ ৪৩তম বিসিএসে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) কর্তৃক শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি সাধারণ জ্ঞান জগতের জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত বই প্রকাশনী মিহির’স রিসার্চ ও পাবলিকেশনের প্রতিষ্ঠাতা। যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পাঠকদের মন জয় করতে পেরেছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ এলাকার  তার জন্ম। মোত্তালিব মিহিরের পিতা মহাবুল ইসলাম একজন বর্গাচাষি ও মা জামিলা বিবির গৃহিনী। তার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তাকে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। আর্থিক দুরবস্থার কারণে একসময় চাচার বাড়িতে থাকতে হয়েছে। পরিবার থেকে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়লে কিছুদিন পড়াশোনাও বন্ধ ছিল। করতে হয়েছে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি। এছাড়া কখনো প্রুফ রিডার, কখনো টিউশনি করে করছেন জীবিকা নির্বাহ ও চালিয়েছেন লেখাপড়ার খরচ। অথচ থেমে যাননি তিনি।
এ প্রসঙ্গে মোত্তালিব মিহির জানান, সবচেয়ে বেশি আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হই এডমিশনের সময়। তখন একটি সিকিউরিটি কম্পানিতে পার্টটাইম চাকরি করে এডমিশনের কোচিং এবং আনুষাঙ্গিক খরচ চালিয়েছিলাম।
এতো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি মোট ৬ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পান এবং সবদিক বিবেচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তার সফলতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেলে হয়তো আমার স্বপ্ন অধরাই রয়ে যেত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষকরা অনেক আন্তরিক। তারা আমাদের সবসময় চাকরি পরীক্ষা ও বিসিএসের জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিতেন। তারা আমাদের সুবিধার জন্য ২ টি ক্লাস রুমকে লাইব্রেরী রুম বানিয়ে ফেলেছিলেন। আমার সাফল্য তাদের অবদান অনস্বীকার্য।
ভবিষ্যতে যারা বিসিএস পরীক্ষা দিবে তাদের উদ্দেশ্যে মোত্তালিব বলেন, বিসিএস ক্যাডার হওয়া যতটা না কষ্টের তার থেকে বেশি কষ্টসাধ্য কাজ হচ্ছে লেগে থাকা। তাই ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকলে একদিন সফলতা আসবেই।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com