শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানা, ডি এম খালী ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের মোল্লা কান্দি গ্রামে জমি জমা নিয়ে বিরোধিতা চলে আসছিলো দীর্ঘদিন, এমনটাই জানা যায় এলাকার সাধারন মানু্সের কাছে।এলাকাবাসী আরো জানায়, এ জমি নিয়ে গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ একাধিক বার সালিশিও করেন, এমনকি সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানরা ও এই সালিশি করেছেন। ভুক্তভুগী পরিবার জানায় গত ১৭ তারিখ রোজ সোমবার সকাল ৭ ঘটিকার সময় আদালত কতৃক নিষেধাজ্ঞা জারীকৃত ক্ষেতে বোনা গম, অভিযুক্ত ব্যাক্তিবর্গ আপন চাচাতো ভাই ৩ জন ও তাদের পরিবার বর্গ গম কেটে ফেলতে দেখে প্রথমে দ্বীন ইসলাম মীর (৫৫) ও পরে মোবারেক মীর (৬০) ও জাহানারা বেগম (৫০) তাদের গম কাটতে বাধা দেয়।আদলতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবং বাদীপক্ষের বাধাও অমান্য করে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এক পর্যায়ে লাঠিশোটা দিয়ে এলোপাথারি পিটাতে থাকে, এলাবাসী গুরুতর আহত দ্বীন ইসলাম মীর,মোবারেক মীর ও জাহানারা বেগমকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সাস্থকেন্দ্রে ভর্তি করে, মোবারেক মীর ও জাহানারা বেগমকে ভর্তি রাখলেও দ্বীন ইসলাম মীরকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে রেফার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল কতৃপক্ষ, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পৌছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্বীন ইসলাম মীরকে মৃত ঘোষনা করে এবং শরীয়তপুর সদর পালং থানায় অবগত করলে প্রশাসনের হেফাজতে পোস্টমর্টেম এর ব্যাবস্থা করাহয়। এপর্যন্ত জানাগেছে মৃত দ্বীন ইসলাম মীরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ( ৪৮ ) বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে মামলা নং ১৭ অভিযোগে যাদের আসামী করাহয় ১। মোঃ কালু মীর (৬৫)
২। আজাহার মীর (৬৩)
৩। আব্দুল কাদের মীর (৫৫) সর্ব পিতা মৃত রুপচান মীর
৪।শাহাজলাল শেখ (৫৫) পিতা আমির শেখ।
৫। নাঈম মীর (২০) পিতা কালু মীর৷
৬।জোবায়ের মীর(১৮) পিতা আজাহার মীর।
৭। মাহামুদা (৪৫) স্বামী কালু মীর।
৮। ঝর্ণা বেগম (৪২) স্বামী আজাহার মীর।
৯। নয়ন পলি (৪০) স্বামী কাদের মীর।
১০। জামসেদ (৬৫) পিতা মোকলেছ সরদার।
১১। জুলেখা বেগম (৫০) স্বামী আজিজুল ঢালী সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন সর্বসাং ডি এম খালী মোল্লা কান্দি, সখিপুর,শরীয়তপুর। উক্ত আসামীদের মধ্যে মো: কালু মীর (৬৫) ও আজাহার মীর (৬৩) কে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরন করা হয়েছে।