বর্ষাকালে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণের। আর এসব ব্যপারে নজর নেই জনপ্রতিনিধিদেরও। তেমনি অবহেলিত লাখাই উপজেলার ১ নং ইউনিয়নের জিরুন্ডা মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলামের বাড়ি হইতে সন্তোষপুর ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি। পুরো বর্ষায় কাদামাটি মাড়িয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা এলাকার মানুষের জন্য চরম কষ্টের। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলে রাস্তা পানির নিচে ডুবে থাকে, পানি সরে গেলে রাস্তা কাদা হয়ে যায়। ছেলেমেয়েদের স্কুল কলেজে যেতে কষ্ট হয়, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে হলে কোলে করে নিতে হয়। ৬ টি গ্রামের প্রায় ১২-১৫ হাজার লোকের আসা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা হলো এই রাস্তাটি। একটু বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তায় পানি জমে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেই মানুষ চলাচল করতে পারে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এতে করে দূরদূরান্তের পথচারীসহ স্থানীয় ৬ টি গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে।রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ হলেও দুর্ভোগ লাগবে জনপ্রতিনিধিদের কোনো উদ্যোগ নেই।এ ব্যাপারে সন্তোষপুর গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা বিগত সরকারের আমলে অনেক সময় উপজেলায় যোগাযোগ করেছি উপজেলা থেকে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আমাদের সন্তোষপুর, রাধানগর, কৃষ্ণপুর, গদাই নগর, লালচানপুর, সীতারামপুর এর প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে কষ্ট করে চলাচল করে। আমাদের আর কোন বিকল্প রাস্তা না থাকায় আমাদের খুব কষ্ট হয়। এ ব্যাপারে ১ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রুপনের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন এই রাস্তাটা হওয়ার জন্য আমরা কয়েকবার কথা বলেছি। হবে হবে বলে দিন যাচ্ছে। আশা করি উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে রাস্তাটি দ্রুত কাঁচা রাস্তা থেকে পাকা রাস্তা হয়ে যাবে।