1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলা আহবায়ক কমিটি অনুমোদন সুন্দরবনে বিষাক্ত থাবা, আটক ৪ মাছ শিকারী বিশেষ চিহ্ন থাকলে দাড়াতে হবেনা লাইনে ছাগল পালন করে স্বচ্ছল সাইফুর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, একই পরিবারের তিনজনসহ নিহত ৫ ঠাকুরগাঁওয়ে “মির্জা রুহুল আমিন” স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ডোমার উপজেলায় নতুন ইউএনও শায়লার যোগদান এবং নাজমুলের বিদায় সংবর্ধনা সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংসসহ নৌকা জব্দ আমতলীর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ২ আসামি গ্রেপ্তার বদলগাছী বিষ্ণুপুর ব্রিজের নিচে পরিত্যক্ত মাংস উদ্ধার, জনমনে শঙ্কা

টঙ্গীবাড়ীতে স্বামীর ২০ লাখ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে উধাও

মোঃ হোসাইন হাওলাদার
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে প্রবাসী স্বামীর ২০ লাখ টাকা,  ২ ভরি স্বর্নালংকার ও ৩ টি এন্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে সানজানা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধু পালিয়েছে। গত ৭ এপ্রিল ২০২৫ ইং এ ঘটনা ঘটে।
খবর নিয়ে জানা যায়,  মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগনি ইউনিয়নের রামশিং গ্রামের হারুন মোল্লার মেয়ে সানজানা আক্তার টঙ্গবাড়ির সোনারং টঙ্গবাড়ি ইউনিয়নের নাটেশ্বর গ্রামে  তার নানা বাড়ি শাহজাহান শেখ এর বাড়িতেই থাকতেন। পরে একই গ্রামের ছোরহাব শেখ এর ছেলে সোহাগ শেখ  (২৫) এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।  এরপর গত ৩ বছর পূর্বে সোহাগ ইরাক চলে গেলে সানজানা সোহাগ কে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। পরে সোহাগ তার বাবা মা কে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। সোহাগের বাবা মা প্রথমে রাজি না হলেও ছেলের সুখের কথা চিন্তা করে পরবর্তীতে দুই  পরিবারের সম্মতিতে মোবাইলের মাধ্যমে তাদের কাবিন হয়। কাবিন এর পর থেকে সোহাগ তার বাবা মার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে তার অর্জিত সকল টাকা স্ত্রী সানজানা ও শশুর বাড়ির লোকজন এর কাছে পাঠাতেন। এরপর গত পহেলা এপ্রিল ২০২৫ইং হতে সানজানা সোহাগের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ১৪ এপ্রিল সোহাগের শাশুড়ী সোহাগের বাবা কে ফোন দিয়ে বলেন সানজানা কে কোথাও খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এই খবর শুনে সোহাগের বাবা সানজানাদের বাসায় খোজ নিয়ে জানতে পারেন সানজানা অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে।  এরপর সোহাগের শাশুড়ী শাহানা বেগম স্বীকার করেন সানজানা রামশিং গ্রামের নিবির নামের এক ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সানজানার স্বামী ইরাক প্রবাসী সোহাগ শেখ মোবাইল ফোনে বলেন, সানজানার সাথে আমার ৮ বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমি ইরাক  আসার পর থেকেই বিয়ের জন্য সানজানা আমাকে চাপ দিতে থাকে। পরে আমার বাবা মাকে সানজানার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতে বললে প্রথমে তারা রাজি ছিলেন না। পরে আমার আত্বীয় স্বজন কে ম্যানেজ করে বাবা মা কে রাজি করাই। এরপর মোবাইলের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের কাবিন হয়। কাবিনের পর থেকে আমার স্ত্রীর আমার বাবা মা আত্বীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে বলে। টাকা পয়সা সব তার কাছে পাঠাতে বলে। আমি তার প্রেমে এতটাই আসক্ত ছিলাম আমার উপার্জিত প্রায় ২০ লাখ টাকা সব তার কাছেই পাঠাই। এছাড়াও কাউকে না জানিয়ে ২ ভরি স্বর্নালংকার এবং মোবাইল কিনে দেই। আমার নানা শশুর শাহজাহান শেখ,মামা শশুর শাকিল, খালা শাশুড়ী  শম্পা, পাখি,মুক্তা, আমার স্ত্রীর বোন সামান্তা, শাশুড়ী শাহানা বেগম আমার কাছ থেকে বিকাশ,জনতা ব্যাংক,পুবালি ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংকের মাধ্যমে আমার থেকে প্রায় ৪-৫ লাখ নিছে। কখনো তাদের কিছু বলি আমার স্ত্রীর কথা চিন্তা করে। এতকিছুর পরেও কাউকে কিছু বলিনি যদি সে তার ভুল বুজতে পেরে আবার চলে আসে কিন্তু তার মন এতো পাষাণ সে আর ফিরলো না। এসময় তিনি আরো বলেন,আমি সানজানার সাথে ৮ বছর ধরে প্রেম করেছি সে আগেও আমাকে ফুসলিয়ে অনেক টাকা নিছে। আমি আমার সব টাকা পয়সা ও স্বর্নালংকার ফেরত চাই।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com