টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে, জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কিছু চিহ্নিত উশৃংখল খান পরিবারে। এ বিষয় শামীম খানকে মুঠো ফোনে জিজ্ঞাসা করলে কল কেটে দেন। প্রবাসী শামীম খানের পরিবারভুক্ত একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীর কার্যকলাপ ও চাঁদাবাজির জঘন্যতম অভিযোগ উঠেছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়া ছাড়াও দলীয় পরিচয় দিতে বিড়ম্বনার শিকারহচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। চাঁদাবাজির শিকার ভুক্তভোগী ব্যক্তি এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, পাকুটিয়ার শামীম খানের ছেলে রবিন খান, বাবুল খানের ছেলে পাকুটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইমরান খান, ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকি খান, শহীদ খানের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল খান, শাকিব খান, মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জাফর আলী খান মোঃ হায়দার সিকদার পিতা লাল মিয়া সিকদার (নালু)  এবং সাটুরিয়া উপজেলার ছাত্রদলের সাবেক (২১) নং সদস্য মোঃ সোহান তালুকদার ও এবাদত হোসেন গং দলীয় পরিচয় দিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী খান পরিবারের সদস্য হওয়ায় স্থানীয়ভাবে পকেট কমিটি করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, দলের ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদেরকে কোণঠাসা করে ফেলারও অভিযোগ রয়েছে পরিবারটির বিরুদ্ধে। গত প্রায় ১ মাস আগে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি ইউনিয়নের ভাটারা গ্রামের বিশিষ্ট ভূষি ব্যবসায়ী বিকাশ সাহার ব্যবসায়ী কাজে ব্যবহৃত পিকআপ আটকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে উল্লেখিত তথাকথিত স্বঘোষিত নেতা দাবীদার চাঁদাবাজ চক্র। গত তিন দিন আগে ঐ একই চক্র বিকাশ সাহার গাড়ীর ড্রাইভারকে আটকে পুনরায় চাঁদা চাইলে স্থানীয়দের সহায়তায় তা নিষ্পত্তি করা হয়। এছাড়াও এ সঙ্ঘবদ্ধ চক্রটি দূরদুরান্ত থেকে ঐতিহ্যবাহী পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি দেখতে আসা পর্যটকদের জিম্মি করে, তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র জোড় করে কেড়ে নেওয়ারও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী নিয়ে প্রায়ঃশই মোটরসাইকেল নিয়ে বিকট আওয়াজ করে, উদ্ভট হর্ণ বাজিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করলেও প্রাণভয়ে কেউই মুখ খুলতে সাহস পায়না তাদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালামকে অবহিত করে প্রতিকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, চাঁদাবাজির বিষয়ে দলীয় হাইকমান্ড থেকে সরাসরি নির্দেশ দেওয়া রয়েছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলামকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী বলেন দলের নাম ভাঙিয়ে হেন কোনও অপরাধ নেই তারা না করছে। ৫ আগষ্টের আগে তারা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে চলে এখন সময় সুযোগ বুঝে দলীয় পরিচয়ে যে কোনো অপকর্ম করে চলেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না। এদের কারণে সাধারণ জনগন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের এখনই দমাতে না পারলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন এলাকার সাধারণ মানুষ যা দলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।