শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকাল পাঁচ টার দিকে ডোমার হাইস্কুল মাঠ হতে শতাধীক নারী পুরুষ ঝাড়ু হাতে নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পৌরসভা ভবনের সামনে ডোমার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং ডোমার পৌরসভার কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমনের কুশপুত্তলিকা দাও করে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।বক্তব্য রাখেন, এলাকাবাসী আনিনুর রহমান, জয়নাল আবেদীন ও গোলামিন রহমান প্রমুখ।
বক্তব্য বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর হতে ডোমার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সুমন চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সাধারণ মানুষের উপর হামলাসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সুমনকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা ও বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবী করে বক্তারা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন ।ঝাড়ু মিছিলের বিষয়ে ডোমার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং ডোমার পৌরসভার কাউন্সিলর আখতারুজ্জামান সুমন বলেন, এটা আমার কোন বিষয় নয়। ডোমার সরকারি কলেজের গেট সম্প্রসারণ করার সময় আফসারুল নামের এক ভদ্রলোক ডোমার সরকারি কলেজের জমি দাবি করে। সেখান থেকে মীমাংসা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাকে সহ বিএনপি’র নেতৃত্ববিন্দদেরকে ডাকা হয়। আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখি ডোমার পৌর বিএনপি সভাপতি আনিসুর রহমান আনুকে আফসারুল ঘুষি মেরে লাঞ্চিত করে ।
পরে এলাকাবাসী এসে তাকে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। আমি কলেজের পক্ষে কথা বলেছি বলেই, আমার নামে আজ ঝাড়ু মিছিল বের করেছে তারা।
ডোমার পৌর বিএনপির সভাপতি আনিসুর রহমান আনু বলেন নীলফামারী থেকে সেনাবাহিনীরা বর্তমান মেজর আমাকে জানান ডোমার সরকারি কলেজের সম্পত্তি একজন দাবি করতেছে। মীমাংসার জন্য আমি সেখানে উপস্থিত হলে আফসারুল নামে এক ব্যক্তি আমাকে ঘুসি মেরে নিচে ফেলে দেয়, আমার দাঁত ভেঙ্গে যায়। পরে এলাকাবাসী এসে তাকে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।
এবং কলেজের এই সম্পত্তি ৪৫ বছর আগে সাবেক টোকরা এমপি দান করেন।
আফসারুলের এর দাবি ডোমার সরকারি কলেজের সম্পত্তি আমার, আমার বাবা হাজী শামসুল হক, এবং আমার ছোট ভাই আলমগীর হোসেন নামে দলিল রয়েছে। আমি সম্পত্তির দাবি করতে গেলে ডোমার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুমন, আনু সহ কয়েকজন ব্যক্তি আমাকে মারধর করে। আমাকে মারতে মারতে ডোমার থানায় নিয়ে আসে। আমি এখন খুবেই অসুস্থ। আপনি ডোমার পৌর বিএনপি’র সভাপতি আনিসুর রহমান আনুকে মেরেছেন ? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই ঝাড়ু মিছিল সংঘটিত করেছেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে আফসারুল হোসেন বলেন তারাই আমাকে মেরেছে, আমি কাউকে মারিনি, এবং ঝাড়ু মিছিলের বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানিনা।