রাজধানী ঢাকা প্রতিনিয়ত এ শহরটি ঘিঞ্জি হয়ে যাচ্ছে। ইট, বালু, সিমেন্ট ও লোহা-লক্কড়ের আবর্জনায় ভরে উঠছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিদিন ঢাকা শহরে হাজার হাজার লোক আসছে। যেখানে-সেখানে বহুতল ভবন গড়ে উঠছে, উঠবেই তো। তাদেরও তো বাসস্থান দরকার। শহরের আয়তন সন্তোষজনক হারে বৃদ্ধি করা যায়নি, তাই উল্লম্ব বর্ধন ছাড়া উপায় নেই। আগে রাস্তার ধারের একতলা-দোতলা বাড়িগুলো এখন ৬তলা, ১০তলা, ১২তলা বিল্ডিংয়ে পরিণত হয়েছে। যে মহল্লায় আগে ৫ হাজার লোক বাস করত, এখন সেখানে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস । ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৮-এর ২৮ নং উপবিধি মতে অনিরাপদ, জরাজীর্ণ, অস্বাস্থ্যকর, অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ, যথাযথ জরুরি নির্গমন পথবিহীন, ভগ্ন প্রায়, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণাহীন, পরিত্যক্ত, অধিবাসী ও সংলগ্ন এলাকার জনসাধারণের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত যে কোনো ইমারত বা নির্মাণকাজ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হবে। সত্যিই দুর্ভাগ্য, প্রিয় এ মহানগরীতে আমাদের দিবানিশি ঝুঁকির মধ্যেই বসবাস করতে হচ্ছে। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, ডেমরা সাধুর মাঠ ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় একটি বহুতল ভবন তৈরিতে কোন রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি যেখানে তিন থেকে চার তলা থেকেই ভবন নির্মাণে বিল্ডিং এর সাইড ঘেঁষে নিরাপত্তার বেষ্টন তৈরি করে থাকেন সেখানে বিল্ডিং এর অজ্ঞাত মালিক তার নাম জানা যায়নি সেখানে বিল্ডিং এর সাইড ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন লিটন ও কন্ট্রাক্টর সিদ্দিক এরা অবগত ছিলেন যে বিল্ডিং টির নির্মাণে সাবধানতা অবলম্বন করেননি । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে আট তলার কাজ চলছে অথচ নিচে সরু রাস্তা দিয়ে অসংখ্য লোকজন চলা ফেরা করছেন সামনেই স্কুল মাদ্রাসা রয়েছে আর এই সরু রাস্তা দিয়ে ছাত্র ছাত্রী রা রাস্তা দিয়ে পারাপার হচ্ছেন কিন্তু এই অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর দায় কে নেবে প্রশ্ন করা হলে তারা স্বীকার করেন যে তাদের ভুল হয়েছে এবং ঈদের পর তারা নিরাপত্তা বেষ্টন দেননি । কিন্তু মালিক পক্ষ এক ভুয়া সাংবাদিক সাজিয়ে তিনি একজন সিকিউরিটি ,আমাদের টাকা পয়সা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে চেয়েছেন । নির্মাণ প্রকল্পের দ্রব্যাদি ও জিনিসপত্র জনপথে কিংবা ফুটপাতে রেখে জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা তৈরি করা হচ্ছে । আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকার কোথাও এ আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে। আমরা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জোন ৬-এর কার্যালয়ে কথা বলে বিষয়টি অবগত করে জানতে পেরেছি যে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা সরেজমিনে গিয়ে তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন ।