সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন বাকী আছে। আগামী ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দুর্গোৎসব।
সীতাকুণ্ড পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানিয়েছে, সীতাকুণ্ডে প্রতিবছরের মতো এবারও স্বাড়ম্বরে দুর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এবার সীতাকুণ্ডে উপজেলায় মোট ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই সীতাকুণ্ড। সীতাকুণ্ড উপজেলার মধ্যে এই বার পূজার সংখ্যা ৬৩টি। তবে এর মধ্যে ২টি ঘট পূজা। অন্য পূজাগুলো যথারীতি প্রতিমা দিয়েই শুরু হবে। এদিকে, উৎসাহ উদ্দীপনা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সনাতন ধর্মালম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গোৎসব নিয়ে প্রতিটি পাড়া-মহল্লা চলছে সাঁজ-সাঁজ রব। পূজার আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে পুজারী থেকে শুরু করে কর্মব্যস্ত সময় পার করছে দোকানীসহ প্রতিমা শিল্পীরা। আলোক সজ্জার সাথে মন্দিরে-মন্দিরে প্রতিমা শিল্পীর রঙ তুলির আছড়ে যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে সু-দর্শন প্রতিমাগুলো। সব মিলিয়ে প্রতিটি এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে মহাআনন্দের ছোয়া। তবে এক্ষেত্রে সকল আনন্দকে সর্বোত্তম জায়গায় এগিয়ে নিতে সর্বশেষ পরিশ্রম মূলে রয়েছে প্রতিমা তৈরীর শিল্পীরা।
সীতাকুণ্ড উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভপতি শ্রী যুক্ত বাবু অমলেন্দু কনক জানান, উপজেলা পূজা মন্ডপ ৬৩টি,, ২টিতে ঘট পূজা বাকী ৬১ টিতে প্রতীমা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। অক্টোবর ষষ্ঠি পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে সার্বজনীন এই ধর্মীয় উৎসব। ১৯ অক্টোবর দেবীদূর্গা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পাঁচদিনের উৎসব পূজা উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা।
অপর দিকে কুমিরা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী যুক্ত বাবু শম্ভু দাশ এর সাথে কথা বলে জানা যায়, অত্র কুমিরায় মোট ৯ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালিত হবে। এই সব দূর্গা মন্দিরের প্রতিমার রুপ সাজ সজ্জা ও মন্দিরের বিভিন্ন কাজ প্রায় শেষের দিকে।