1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়ায় ভূয়া ব্যারিস্টার প্রতারক শামীম রহমান গ্রেফতার গৌরনদীতে মৎস্যজীবীর গরু জোরপূর্বক বিক্রির অভিযোগ গন অধিকার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন ও পথসভা লালপুরে ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেপ্তারের দাবিতে মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা প্রত্যেক শিশুর মানসিক বিকাশে শিক্ষকের ভুমিকা অপরিসীম – বিদ্যালয় পরিদর্শন কালে বিজন কুমার বালা হবিগঞ্জ শহরে চোরের ছুরিকাঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত জুলাই অবমাননায় ক্ষোভ, পুলিশ সদস্য রনির শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ—পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উত্তপ্ত মতবিনিময় সভা বেতাগীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জামায়াতে ইসলামীর পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও ওষুধ বিতরণ জুলাই- আগষ্ট গনঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে শতাধিক ইয়াতিমদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে রাতে কম্বল নিয়ে পাশে দাড়াঁলেন ভোলা বেড়িবাঁধে, ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান

জহিরুল ইসলাম লিটন
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২০৮ বার পড়া হয়েছে

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলাতে বেশ কয়েকদিন ধরে জেঁকে বসেছে শীত। সেই শীতের হাত থেকে ভোলার নিম্ন আয়ের মানুষদের কিছুটা রক্ষা করতে রাতের আঁধারে বেড়িঁবাধ ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেছেন ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান।

কনিবার (১৩ জানুয়ারী) রাতে ভোলার ধনিয়ার কোরারকাট বেড়িঁবাধ, শিবপুর শান্তিরহাটসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে নিজে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল তুলে দেন। এসময় তিনি বেড়িঁবাধে থাকা নি¤œ আয়ের মানুষের খোঁজ খবর নেন জেলা প্রশাসক।রাতের আঁধারে ঘরের দুয়ারে জেলা প্রশাসককে কম্বল নিয়ে হাজির হতে দেখে আবেগে আপ্লুত হন অনেক বেড়িঁবাধ এলাকার অসহায় শীতার্ত মানুষগুলো। তীব্র শীতের মধ্যে শীতবস্ত্র পেয়ে খুশিতে আত্মহারা বেড়িঁবাধ এলাকার অসহায় মানুষগুলো।

কম্বল পাওয়া ধনিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কোররাহাট এলাকার রিকসাচালক আবুল বাশার বলেন, আমি রিকশা চালক। রাত হলে ছেলে মেয়ে নিয়ে শীতে খুব কষ্ট করি। রোজগার করে যে টাকা পাই তাদিয়ে একটা ভালো কম্বল কিনার সাদ্য নেই।অনেকের কাছে একটা কম্বল চাইচিলাম কেউ দেয়নি। আজ ডিসি স্যার আমার বাড়ীতে এসে নিজে শীতবস্ত্র দিয়েছেন। এটা আমার জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া।মনে হয় আল্লাহ আমার চাওয়া কবুল করছে। এখন রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারব।৬০ বছরে বৃদ্ধা সালেহা বেগম বলেন, শীতে রাতে ঘুমাতে অনেক কষ্ট হতো। অনেক সময় শীতের কারণে ঘুম ভেঙে যেত কিন্তু আজকে স্যার আমাকে একটা শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল দিয়েছেন। আজ আমি শান্তিতে ঘুমাতে পারব।

শীতে কম্বল পাওয়া মরিয়ম বলেন, আমার স্বামী একজন জেলে। নদীতে তেমন কোন মাছ নাথাকায় আয়রোজগার তেমন হয়না। পোলাপাইনরে দুইটা শীতের পোশাকও কিনে দিতে পারতেছেনা। এই শীতের মধ্যে রাতে অনেক কষ্টে ছেলে-মেয়ে নিয়া ঘুমাই। জেলা প্রশাসন থেকে আমাকে একটা কম্বল দিয়েছে। এখন ভালো করে ঘুমাতে পারব।

ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিন ধরে খুব কনকনে শীত পড়েছে। এই জেলায় ছিন্নমূল মানুষের পাশাপাশি বেড়িঁবাধ এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে থাকেন। শীত বেড়ে যাওয়ায় এসব মানুষ শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছে। তাই তাদের কষ্ট কিছুটা লাগব করার জন্য এই শীত বস্ত্র নিয়ে নিজে ছুটে এসেছি তাদের কষ্ট লাগব করার জন্য। আমরা এবছর দুযোর্গ ব্যবস্থপনা মন্ত্রণালয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ভান্ডার থেকে ৪৩ হাজার ৫শ কম্বল পেয়েছি। যেগুলো আমরা উপজেলা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক বিবাজন করেছি। ইতিমধ্যে স্ব-স্ব উপজেলা দুস্থ ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরন করেছে।এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রিপন কুমার সাহা, ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সজল চন্দ্র শীল, ভোলা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (নেজারত শাখা) মো: আবু সাঈদ, সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জিয়াউল হকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি সাংবাদিকরা এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com