সেচসহ কীটনাশকেও কোনো কাজ হচ্ছে না,তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা আবহাওয়া অফিসের তাপদাহে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল।
লিচুর জন্য বিখ্যাত জেলা দিনাজপুর। এ জেলায় বাংলাদেশের সেরা লিচু উৎপন্ন হয়। তবে এবার মুকুল থেকে গুটি আসার সময় অব্যাহত অনাবৃষ্টি আর তাপদাহের কারণে পুড়ে যাচ্ছে লিচুর মুকুল। সেইসঙ্গে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি। প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণে চরম দুশ্চিন্তায় জেলার লিচু চাষীরা। এই অবস্থায় লিচুর বাগানে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করে গাছের লিচু রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আবহাওয়ার প্রতিকূল এই অবস্থা মোকাবিলা করে গাছের লিচু রক্ষায় চাষীদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।লিচুখ্যাত এই দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের লিচুগাছগুলোতে এবার সমারোহ ঘটে ব্যাপক মুকুলের। আর এসব মুকুল চৈত্র মাসের শেষ দিক থেকেই আসতে শুরু করে গুটি। কিন্তু গুটি হওয়ার এই সময়ে অব্যাহত তাপদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে পুড়ে যাচ্ছে গাছের মুকুল, ঝরে পড়ছে নতুন গুটি। এতে প্রথম অবস্থায় গাছের মুকুল দেখে বেশ আশান্বিত হলেও এখন চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দিনাজপুরের লিচু চাষীরা। ফলন নিয়ে এখন আশাহত হয়ে পড়েছেন তারা।এদিকে বিরূপ এই আবহাওয়ার মধ্যেও বসে নেই চিরিরবন্দরের লিচু চাষীরা। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে গাছের লিচু রক্ষায় বাগানে সেচ ও গাছের বিভিন্ন পরিচর্যা করছেন তারা। বিরল উপজেলার মাধব বাটী ও সদর উপজেলা মাসিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লিচুর বাগানে শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছেন লিচু চাষীরা। কেউ কেউ লিচু রক্ষার জন্য গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন,সদর উপজেলার মাসিমপুর গ্রামের লিচু চাষী আজিজ হোসেন জানান, তার বাগানে ছোটবড় মিলিয়ে শতাধিক লিচুর গাছ রয়েছে। প্রথম অবস্থায় প্রায় প্রতিটি গাছেই ব্যাপক মুকুল আসায় এবার লিচু নিয়ে বেশ লাভের স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। কিন্তু গুটি আসার ‘মোক্ষম সময়ে তীব্র রোদ আর গরমের কারণে পুড়ে গেছে গাছের অনেক মুকুল এবং এখন ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি। এই অবস্থায় ফলন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।