দীঘিনালায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ঘুষ-দুর্নীতি এবং ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকার ভুক্তভোগী বিক্ষুব্ধ জনতা।
রোববার (২৭জুলাই) দুপুর ২টায় দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের সামনে হলুদ চত্বরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে দুই শতাধিক মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে।
দীঘিনালার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগানে হলুদ চত্বর মুখরিত করে তোলে। বোয়ালখালী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন একাধিক ভুক্তভোগী। তাদের মধ্যে হাফেজ মাওলানা মো. রুহুল ইসলাম বলেন, “আমার মিটারের রিডিং অনুযায়ী যে বিল হওয়ার কথা, তার চেয়ে ২২৪১ ইউনিট অতিরিক্ত বিল এসেছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়।” আরেকজন ভুক্তভোগী আশরাফুল হোসেন বলেন, “প্রতিনিয়ত লো-ভোল্টেজের কারণে আমরা ভোগান্তিতে আছি। বিল ঠিকভাবে হয় না, আর অফিসে গেলে কেউ কথা শুনে না।”
বক্তারা অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ অফিসে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। টাকা না দিলে কাজ হয় না, আবার মিটার রিডিং না দেখে ইচ্ছেমতো বিল দেওয়া হচ্ছে।
মানববন্ধন শেষে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- দীঘিনালায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, বোয়ালখালী নতুন বাজারের ট্রান্সফরমারের সমস্যা দ্রুত সমাধান, সঠিক মিটার রিডিং অনুসারে বিল প্রদান, বিদ্যুৎ অফিসের দুর্নীতিবাজদের অপসারণ, ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, লো-ভোল্টেজ সমস্যা নিরসন এবং বিদ্যুৎ অফিস ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি যেন লাইনে কাজ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া।
এছাড়াও অগ্রিম পরিশোধ করা বিল ফেরত দেওয়া, জরুরি হেল্পলাইন চালু, উন্মুক্ত অভিযোগ বক্স স্থাপন এবং প্রতি ১৫ দিন পরপর খাগড়াছড়ি স্টেশন কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয় শুনানির দাবি জানানো হয়।
বক্তারা আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ না হলে তারা আরও বড় আন্দোলনের দিকে যেতে বাধ্য হবেন। দীঘিনালার জনসাধারণ এখন একটি স্থায়ী সমাধান চান।