রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষীপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যা ও হত্যা চেষ্টার পৃথক দুইটি মামলায় ১৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
উক্ত ঘটনায় ফেরদৌসী (৫৫) নামের এক নারী নিহত ও দুই পক্ষের অন্ততঃ ২০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩জন রামেক ও ১জন ঢামেক হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে নিহত ফেরদৌসী বেগমের ভাই গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ ১০/১২জন অজ্ঞাত আসামি করে
দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় গত শনিবার দিনও রাতভর অভিযান চালিয়ে উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষীপুর এলাকা থেকে হত্যা ও হত্যা চেষ্টার পৃথক দুইটি মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।
পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাইদুল (৩২) পিতা ইয়াদ আলী, মামুনুর রশিদ (৩১) পিতা মৃত ফয়েজ উদ্দিন, জাহিদ হাসান পাইক(২০) মামুনুর রশিদ, সাইনুল ইসলাম (৪৬) পিতা মৃত মনসুর আলী, নুর ইসলাম (৫০) পিতা মৃত আব্দুল হক, বিলকিস বানু (৪৮) স্বামী মৃত আব্দুস সালাম, রজুফা বেগম (৫৮) পিতা মৃত সামাদ, জায়েদা বেগম (৫৫) স্বামী মৃত ফয়েজ উদ্দিন, জাহানারা বিবি (৪০) স্বামী হাফিজুর রহমান, মর্জিনা বেগম(৩৫) স্বামী মামুনুর রশিদ, রাজিয়া বেগম ৫০ স্বামী নূর ইসলাম, শাবনুর (২৫) স্বামী সাইদুল, রত্না বেগম (২১) স্বামী সুজান আলী।
এছাড়া হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি হলেন, আব্দুল হান্নান (৪৫) পিতা মৃত এলাাহি বক্স ও রবিউল ইসলাম (৪২) পিতা আব্দুল করিম
দুর্গাপুর থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষীপুর গ্রামের জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ফেরদৌসী বেগম নিহত হন। নিহতের ঘটনা ও হত্যা চেষ্টার মামলায় অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রেন্টু ও বিএনপির কর্মী মামুনুর রশিদ মামুন এর
দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়াজুল চেয়ারম্যান এর পক্ষের ফেরদৌসী বেগম মারা যান।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হুদা বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে পৃথক দুটি মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।