ধর্মান্তরিত “‘ মানে আমরা সবাই জানি। এক ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে দীক্ষিত হওয়া। কোন অ- মুসলিম যদি এক আল্লাহতাল্লাহ, তার রাসূল (সাঃ) এবং আসমানী কিতাব সমূহের উপর বিশ্বাস এনে ” কলেমা ” পাঠ করলো, সে মুসলমান শুধু মুসলমান নয় অনেক দামী ” মুসলমান ” হয়ে গেল। কারণ+; সে ভাল- মন্দ সবকিছু জেনে শুনে ধর্মান্তরিত হয়েছে বা আমরা যদি বলি৷ ” মুসলমান” হয়েছে। মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। আমরা খবরের কাগজে চোখ রাখলেই অথবা বর্তমান আধূনিক মিডিয়ার যুগে বিশেষ করে ” ফেসবুকে” ডুকলেই প্রায়ঃ চোখে পড়ে ” এই জায়গায় ১/৩/৮ জন হিন্দু পবিত্র. কলেমা পড়ে মুসলমান হয়েছে। অবশ্যই ভালো খবর, সু- খবর। আনন্দের খবর। আমাদের প্রশ্ন৷ হচ্ছে৷ – এই ” ধর্মান্তরিত ” বা নব- মুসলিম বা মুসলমানদেরকে পেপার- পত্রিকায় অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা ছাড়া আর কি করছি ?
তাদেরকে কতটুকু সাহায্য ( আর্থিক বা সামাজিক) সহযোগিতা করছি, তাদেরকে কতটুকু নিরাপত্তা আমরা দিচ্ছি? শুধু নিজের প্রচরাণার জন্য ফেসবুকে বড় বড় অক্ষরে লিখলেই কি দায়িত্ব শেষ হয়ে গেল? আমদের মনে হয়, আজ পর্যন্ত ঐ জাগায় এতোজন ” ধর্মান্তরিত ” বা নব- মুসলমানকে ঘর, ব্যবসা বা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে ? বা সামাজিকভাবে সন্মানিত করা হয়েছে। এমন খবর পেপার – পত্রিকায় বা ফেসবুকে নজরে আসে নাই। বরং আমার পরিচিত এমন একটি পরিবার আছে, যে পরিবারে স্ত্রী একজন ” ধর্মান্তরিত ” মুসলমান। তারা বসবাস করছে আমাদের মুসলিম সমাজে। আমরা যতোদূর জেনেছি,, ঐ মহিলা ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, বর্তমানে রোজা রাখছে, অথচ আমরা মুসলমানরা তাকে কোন আর্থিক সহযোগিতাতো করছি না বরং কথায়-কথায় খোটা দিয়ে বলছি, ” তুমি হিন্দুর মেয়ে, ডান্ডির মেয়ে, “। ঐ মহিলা একদিন প্রশ্ন করেছিলো,, ইসলাম ধর্মে কি এভাবে মানুষকে অপমান করার, বেইজ্জত করার শিক্ষা দেয়,? আমি কোন উত্তর দিতে পারি নাই, আপনারাই তার এই প্রশ্নের উত্তর দিবেন। সবচেয়ে দূঃখের বিষয় কি জানেন, এই পবিত্র ” শবে- কদরের দিন ” তার বাসায় বলতে গেলে রান্না ও হয় নাই। তো ভাই, আপনাদের কাছে আমাদের প্রশ্নঃ– আমরা বা আপনারা কোন মুসলমান, কোন ইসলাম ধর্মের অনুসারি ? কোন নবী উন্মত? ইসালাম পবিত্র ধর্ম, অনুরোধ, এই৷ পবিত্র ধর্মের প্রচার করতে গিয়ে যেন আমাদের ধর্মীয় আর্দশের কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।