ঢাকার নবাবগঞ্জের ইছামতি নদীতে ময়লার ভাগাড়ে জন-জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, এখানে দীর্ঘদিন ধরেই গোবিন্দপুর বাজারের সমস্ত বর্জ্য এই ইছামতি খালে ফেলা হয় যা নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এখানে স্তূপে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়। গোবিন্দপুর, মুসলিমহাটি, কামারখোলা, দুর্গাপুর, মুন্সিনগর, আগারবাগ, মরিচপুঁটি, চুরাইন এই সমস্ত অঞ্চলের জনগণ প্রতিদিনই নবাবগঞ্জ যাতায়াত করে থাকেন এই ব্রিজ দিয়ে।
এছাড়া গালিমপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, গালিমপুর সোনাবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ও গালিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের শত শত শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করার কারণে ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। এখানে দীর্ঘদিন সমস্যা থাকার পরেও প্রশাসনের পক্ষ দিযয়ে কোন ব্যবস্থা রেয়া হয়নি।
পথচারী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান ময়লার দুর্গন্ধে এখান দিয়ে যাতায়াতের সময় নাক বন্ধ করে যাতায়াত করতে হয় এই ময়লা থেকে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় তৈরি হচ্ছে। এছাড়া এডিস মমশার ঝুকি বেশি। ময়লার দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
চুরাইন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এশিয়া বার্তাকে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাসেত প্রামানিক জানান গোবিন্দপুর বাজার একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার।এই বাজারের ময়লা ফালানোর কোন নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় সকলে ময়লা ফেলছেন ইছামতি খালে যার কারণে এখানে একটি ময়লার স্তুব তৈরি হয়ে গেছে।
তিনি আরো জানান চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার গোবিন্দপুর বাজার ব্যবসায়ীদের নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা এখানে ময়লা ফেলছেন। প্রশাসনিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মতিউর রহমান এশিয়া বার্তাকে জানান, এখনো পর্যন্ত চেয়ারম্যান অথবা গোবিন্দপুর বাজার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে তাদের কাছে লিখিত কোন অভিযোগ জানানো হয়নি। তিনি আরো জানান অভিযোগ পেলে জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে অভিযান করবেন।