1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সাংবাদিককে যারা শত্রু ভাবে, তারা দেশের শত্রু : মোমিন মেহেদী সান্তাহারে গ্রাম পুলিশকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি অপরাধকর্মে ব্যবহৃত হচ্ছে অবৈধ ডাম্পার জালালাবাদে অস্ত্র ঠেকিয়ে গরু ডাকাতি কাউনিয়ায় দীর্ঘদিন পর প্রেসক্লাবের কমিটি ঘোষণা সভাপতি নিতাই সম্পাদক সাইদুল সাংগঠনিক আতিকুল মানব সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী খুলনা ডুমুরিয়া বাশির প্রত্যাশী এখন আজগার আলী লবী সিরাজগঞ্জে সলঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ছেলে নিহত বগুড়ার শাজাহানপুরের একাধিক মাদক মামলার আসামি ও হেরোইন ব্যবসায়ী সবুজ সহ গ্রেফতার ৩ নওগাঁর আত্রাইয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুরের দাফন সম্পন্ন খুলনা কেএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন

নবীগঞ্জে দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত ২

মোঃ সিজিল মিয়া চৌধুরী
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষে রক্তাক্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে আনমনু, পূর্ব তিমিরপুর, পশ্চিম তিমিরপুর ও চরগাঁও গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ জড়িত হয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ২ জন নিহত এবং দেড়শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক মিয়া এবং আনমনু গ্রামের রিমন মিয়া (২৫)। রিমন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংঘর্ষের সময় নবীগঞ্জ শহরের গাজীরটেক, মৎস্যজীবী পাড়া, চরগাঁও ও পশ্চিম বাজার এলাকায় ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। বাজারে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। অন্তত ৫০টি দোকান ও একাধিক যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। অনেক দোকানে লুটপাট চালানো হয়। ব্যবসায়ীদের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ এলাকার আশাহিদ আলী আশার সঙ্গে তিমিরপুরের খসরু মিয়া তালুকদারের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। উভয় পক্ষ আগে থেকেই উত্তেজনায় ছিল এবং সোমবার বিকেলে ঘোষিত সভার পর সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবে এলাকা থমথমে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলে রয়েছে। ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, “১৪৪ ধারা জারি করা হলেও দুই হাজারের বেশি মানুষ উত্তেজিত অবস্থায় ছিল। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনও পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানা গেছে, তবে প্রশাসন বলছে তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com