চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের চলা কর্মবিরতিতে ভেঙে পড়েছে প্রশাসনিক ও শিক্ষা ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার গত ২০মে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে শিক্ষকরা তাদের অফিসকক্ষে বসে সময় পার করছেন। এ বিষয়ে সিনিয়র শিক্ষক আনিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, প্রশাসনিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকার সুধীজন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দুদক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক ও শিক্ষা অফিসের তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু তিনি নিয়ম না মেনে কাউকে দ্বায়িত্ব না দিয়েই ১৮ মে থেকে এক সপ্তাহের ছুটিতে বাইরে রয়েছেন। এদিকে ১৯ মে এসএসসির পাবলিক পরীক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে খাতা বোর্ডে পাঠানোর জন্য কেন্দ্র সচিবের বিভিন্ন স্থানে সাক্ষর দিয়ে পাঠাতে হবে। এতে করে শিক্ষকরা পড়েছে বিপাকে।
এবিষয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি দুরুল হোদা জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ গুলো তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে তার অসুস্থতার কারণে মানবিক কারণে এক সপ্তাহের ছুটি দেয়া হয়েছে। তবে তার ছুটি কালিন কাউকে দ্বায়িত্ব দেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান। এছাড়া শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়টি তিনি জানেন না।
এদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমার নিকট ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামের ছুটির একটি আবেদন এসেছে তবে সে আবেদনে দ্বায়িত্বরত কোন শিক্ষকের নাম নেই। এতে করে তিনি বিধি বহির্ভূতভাবে ছুটি নিয়েছেন। অন্যদিকে শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়টি জানার চেষ্টা করবেন।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির আনিত অভিযোগ গুলো দুদক ও শিক্ষা অফিসের তদন্ত টিম কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছুটি নিয়ে বাইরে রয়েছেন এ ছাড়া শিক্ষকদের কর্মবিরতির বিষয়টি শিক্ষা অফিসকে অবহিত করা হয়েছে। তারা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবে।
ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য রবিউল ইসসাম ও প্রাক্তন ছাত্র বেনজির আহম্মেদ শিক্ষকদের কর্ম বিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নাচোলের ঐতিহ্যবাহি স্কুলটির প্রশাসনিক ও শিক্ষা ব্যবস্থার সুষ্ঠ্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিতর্কিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামের অপসারণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া এ্যাডহক কমিটির সভাপতি দুদক ও শিক্ষা অফিসের তদন্ত চলাকালে ও পরীক্ষা কেন্দ্রের সদস্য সচিবের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এড়িয়ে তাঁকে বিধি বহির্ভূতভাবে এক সপ্তাহের ছুটি দিয়ে তদন্ত কাজ ব্যহত করেছেন।