নির্বাচন বিরোধীদের রেলপথে নাশকতা রুখতে বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। নিয়মিত রেল স্টেশন প্ল্যাটফর্ম, রেল লাইন ও রেল কোচে টহল ও যাত্রীদের সন্দেহভাজন ব্যাগ তল্লাশি করছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে।আন্তর্জাতিক এ রেল স্টেশন দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিরোধীরা নির্বাচন বানচাল করতে আগে থেকেই সড়কে অবরোধ, হরতাল ডেকে বাস, ট্রাক জ্বালিয়ে নাশকতা চালিয়ে আসছে। এখন সড়ক পথের পাশাপাশি তারা এ নাশকতা রেল পথে বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলে জনজীবন এবং জনগণের নিরাপদ ট্রেন যাত্রায় বড় ধরনের হুমকির মধ্যে ফেলেছে।
রেল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দেশে নির্বাচন বিরোধীরা রেলে বড় ধরনের পাঁচটি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশের রেল সম্পদ নষ্ট ও ৫ জনের প্রাণ গেছে। এসব নাশকতায় সরকারের সম্পদ যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি নিরীহ মানুষের জীবন হানি ঘটেছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা অনেকটা ভীত। তবে সরকার নাশকতা প্রতিহত করে যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ করতে ইতিমধ্যে কঠিন পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারা দেশে ২ হাজার ৭০০ আনসার সদস্য রেলের নিরাপত্তায় কাজ করছে।
এ ছাড়া রেল পুলিশ, রেল নিরাপত্তা কর্মীরাও নিরাপত্তায় অংশ নিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বেনাপোল রেল স্টেশন প্ল্যাটফর্ম, রেল লাইন ও রেল কোচে নিয়মিত টহল ও যাত্রীদের সন্দেহ ভাজন ব্যাগ তল্লাশি করছেন আনসার, রেল পুলিশসহ অনন্যা নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে।
রেল যাত্রী ভারত থেকে আগত অনিতা বিশ্বাস বলেন, ‘রেলে নাশকতা কর্মকাণ্ডে আমরা অনেকটা আতঙ্কিত। তবে
সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় স্বস্তি ফিরেছে।
নিরীহ মানুষের জীবন নিয়ে কখন দাবি আদায় হয় না।’ আমদানি কারক আমিনুর রহমান বলেন, ‘বেনাপোল বন্দর দিয়ে রেলে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন হয়। রেলে নাশকতার ঝুঁকি রয়েছে। তবে বর্তমান নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনেকটা নিরাপদ মনে হচ্ছে। বেনাপোল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) আব্দুর রশিদ বলেন, রেলে নাশকতা রুখতে সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আনসার, রেল পুলিশ ও রেল নিরাপত্তাকর্মীরা সজাগ রয়েছে। বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, বেনাপোল আন্তর্জাতিক রেল পথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রীবাহী বন্ধন রেল, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ছাড়াও লোকাল বেদনা বেশ কটি রেল যাত্রী পরিবহন করছে। এ ছাড়া পণ্য পরিবহনে যুক্ত রয়েছে কার্গো রেল, পার্সেল ভ্যান ও রেল ওয়াগন।