দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ আলম পাঠানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (৬ জুলাই) সন্ধায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আল-আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু শামীম মো. আরিফ (ভিপি শামীম) এবং সদস্য সচিব জিল্লুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে নাসিরনগর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ আলম পাঠানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে উপজেলা কৃষক দলের সকল নেতাকর্মীদের প্রতি শাহ আলম পাঠানের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আওয়ালকে নতুন সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট সরকার পতনের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার একটি মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহ আলম পাঠান আদালতে ১১৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও প্রায় ৩০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে তিনি ওই মামলায় পাঁচ আসামির নাম বাদ দিতে আদালতে একটি হলফনামা দাখিল করেন, যা নিয়ে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর ১৩ জুন জেলা কৃষক দল তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়।
শুধু তা-ই নয়, তার বিরুদ্ধে মামলাবাণিজ্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার অভিযোগও ওঠে। এ সংক্রান্ত ছবি ও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়, যা দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে বহিষ্কৃত নেতা শাহ আলম পাঠান বলেন, “নিউজ করার দরকার নাই, এগুলো সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।”
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম. এ. হান্নান বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি এবং খোঁজও নিচ্ছি। আমাদের দল কখনোই শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের সমর্থন করে না।”
এ বিষয়ে দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন বলেন, “তার ব্যাপারে জেলা কমিটির কাছে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ প্রদান করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি।”