1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চিরিররবন্দরে উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু আটক চাঁদাবাজ রিয়াদে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী; চাঁদা না দিলেই শুরু হয়ে রিয়াদের মামলা বাণিজ্য কুড়িগ্রামে অটোরিকশা ও ডাম্প ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ বগুড়া শাহজাহানপুরে ২৫ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা ও ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ শামিম ও লিয়ন গ্রেফতার কেন্দুয়ার নিখোঁজ সাবেক ছাত্রদল নেতার বাড়িতে বিএনপি নেতা ড.রফিকুল ইসলাম হিলালী খুলনা জেলা বিএনপি নেতা মোমরেজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার: থানায় জিডি, তীব্র প্রতিবাদ শিবগঞ্জে তথ্য সংগ্রের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের লাঞ্ছিত ও প্রতারনার চেষ্টা কুড়িগ্রামের ভুরুংগামারীতে ট্রাক-মাহিন্দ্রার সংঘ নিহত ২,আহত ৪ আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জোরপুর্বক তুলে নেয়ার চেষ্ট, দুটি ককটেল বিষ্ফোরণ -আহত ১০ ৯ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক, ৩২ লাখ টাকার ব্রিজের সুফল বঞ্চিত মানুষ

নিখোঁজের পর নদীতে মিলল নারীর লাশ, শরীরে দেখা গেছে একাধিক আঘাতের চিহৃ

আবদুল্লাহ আল মামুন
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৬০ বার পড়া হয়েছে
‎চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলদিয়াড়ে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মেমজান বেগম (৪০) মধ্যবয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
‎শনিবার (১২ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়রা মেমজানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। এ সময় মেমজানের মাথা, মুখমণ্ডল সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে একাধিক আঘাতের চিহৃ দেখতে পাওয়া যায়।
‎মেমজান বেগন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় গ্রামের চুনুরিপাড়ার আব্দুস সামাদের স্ত্রী।
‎চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান দৈনিক দেশ বুলেটিনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
‎মেমজান বেগমের আত্মীয় এবং উদ্ধারকারি লিপি খাতুন দৈনিক দেশ বুলেটিনকে বলেন, মেমজানে শাশুড়ি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ হয়ে বিছানাগত। তিনি প্রতিদিনের মত শনিবার সন্ধার পর শাশুড়ির মল-মুত্র বাড়ির সামনেই মাথাভাঙ্গা নদীতে ফেলতে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি আর ফেরেননি। পরে অনেক খোজাখুজির পর সন্দেহ হলে একপর্যায়ে মাথাভাঙ্গা নদীতে খোজা শুরু হয়। এরপরই নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
‎শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের বিষয়ে জানতে চাইলে লিপি খাতুন বলেন, মেমজান বেগম দীর্ঘদিন যাবত মৃগী (খিচুনি) রোগে ভুলছিলেন। আমাদের ধারণা নদীতে যাওয়ার পরই খিচুনি শুরু হলে ব্যালেন্স হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এতে শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন। এছাড়া মরদেহ উদ্ধারের সময়ও সবার হাত থেকে ফসকে পড়ে গিয়েছিল। এতে মাথায় জখম হয়। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
‎এ বিষয়ে জানতে মেমজান বেগমের স্বামী বা পরিবারের অন্য স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
‎চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারেক জুনায়েত দৈনিক দেশ বুলেটিনকে বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যরা মেমজান বেগমকে মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে এসেছিলেন। তার মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে জখমের চিহৃ পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি, তিনি মৃগী রোগী ছিলেন। আর এই রোগীরা অনেক সময় আক্রান্ত হলে পড়ে যান এবং মৃত্যুও হতে পারে তাদের।
‎তিনি আরও বলেন, যেহেতু শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তাই বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
‎চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদূর রহমান দৈনিক দেশ বুলেটিনকে বলেন, শুনেছি মাথাভাঙ্গা নদীর পানিতে ডুবে তিনি মারা গেছে। মৃগী রোগী ছিলেন তিনি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতের কারণে বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। আগামীকাল (আজ) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com