পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় ৫ম শ্রেণীর (১১) মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় আপস মীমাংসার নামে স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. মনজুরুল কবিরের বিরুদ্ধে ১ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলদিয়া ইউনিয়নের চামি গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক মোঃ মনির হোসেন ফরাজী (৫২) এর নামে নেছারাবাদ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গ্রেফতারপূর্বক পিরোজপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনাটি আপস মীমাংসার নামে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনজুরুল কবিরের ১ লাখ টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একই ওয়ার্ডের গ্রাম চৌকিদার মো. সজিব মাঝি।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়,ধর্ষিতা শিশুটি উপজেলার চামি মুসলিমীয়া দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। শনিবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১ টায় বাড়ির পাশে অভিযুক্ত মনির ফরাজীর দোকানে খাবার কেনার জন্য যায় শিশুটি। শিশুটিকে খাবার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দোকানে ঢুকিয়ে সামনে থেকে তালা দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে সে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে আপোষ মীমাংসার কথা বলে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনজুরুল ইসলাম ধর্ষণকারীকে মারধর পূর্বক চাপ প্রয়োগ করে ০১ লাখ টাকা নিয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে না দিয়ে সে নিজে আত্মসাৎ করে।
অভিযুক্ত ধর্ষণকারীর মা মাহাফুজা বেগম জানান,আমার ছেলে একটু অপরাধ করেছে বলে আমার ছেলেকে বিএনপি নেতা মনজুরুল কবির অনেক মারধর করেছে এবং সজিব মাঝির মাধ্যমে তাকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা দেওয়ার পরও আমার ছেলের নামে কেন মামলা দিয়ে জেলে পাঠালো,আমরা আমাদের দেওয়া ১ লক্ষ টাকা ফেরত চাই।
গ্রাম চৌকিদার সজীব মাঝি বলেন, আমি নিজের হাতে টাকা নিইনি, বিএনপি নেতা মনজুরুল কবির নিজে টাকা নিয়েছে। তবে মামলা হওয়ার পর টাকা ফেরত দিয়েছে বলে আমি শুনেছি।
বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল কবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি টাকা নিইনি, কারা টাকা নিয়েছে তা আমি জানিনা। একটা সালিশ বিচারে গেলে নানা লোকে নানা কথা বলবে, টাকা না নিলেও টাকার প্রশ্ন জাগবে এ ব্যাপারে কি প্রমাণ আছে।
নেছারাবাদ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি আমিন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রবিবার ধর্ষিতা শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছে এবং ধর্ষণক মনির ফরাজীকে গ্রেফতারপূর্বক পিরোজপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।