প্রধানমন্ত্রী পাট ও চামড়া শিল্প দিয়ে বাংলদেশ কে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে নির্দেশ দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে গার্মেন্টস সৃষ্টির মাধ্যমে পোশাক শিল্প কে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব দরবারে পৌছে বৈদেশিক অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ পাট ও চামড়া শিল্পের বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে পাটের উৎপাদিত পন্য বিশ্ব বাজারে তুলে ধরতে এই সরকার কাজ করছে।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে ফরিদপুর জেলা শিশু একাডেমির অডিটোরিয়ামে পাট খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, পাট থেকে পাটজাত পন্য তৈরি করে আমাদের ঘুরে দাড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ফরিদপুর থেকে পাট চাষের সমস্যা জেনে সমাধানের পথ বের করার জন্য এসেছি। ফরিদপুরে শুধু পাট উৎপাদন হয় তা না, এখানে উচ্চমানের পাটও উৎপাদন হয়। সল্প জায়গায় সল্প সময়ে কিভাবে পাট জাগ দেয়া যায় আমরা সে ব্যবস্থা করবো। আগামীতে গ্রামে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে পাট চাষ ও পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিয়ে কৃষকদের সাথে কাজ কবরো। উন্নত জাতের পাট ও বীজ উৎপাদনে পাট গবেষনা কেন্দ্রের কর্মকর্তারাদের এবিষয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। বাজারে পথিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের বাহির থেকে প্রায় ৭৫ বাগ পাটের বীজ আমদানী করতে হয়। আগামীতে পাট বীজে সয়ং সম্পুর্ন হতে সবাই কে কাজ করতে বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান, ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য লাবু চৌধুরী, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ঝর্ণা হাসান, বিজিএমই এর সভাপতি আবুল হোসেন, পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ।
বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ, স্মার্ট পাটশিল্পের বাংলাদেশ” স্লোগানকে সামনে রেখে পাট থেকে পাটের বহুমুখী পন্য তৈরিতে অংশ নেয়া বিভিন্ন উদ্যোক্তা, চাষী ও পাটের ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
পরে পাট অধিদপ্তর উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্তরে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে ৩ দিন ব্যাপী বহুমুখী পাট পন্যের মেলার উদ্বোধন করেন অতিথিরা। মেলায় বিভিন্ন জেলার পাট শিল্পের সাথে জড়িত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মেলা ঘুরে দেখেন সবাই। মেলা ২৫ টি স্টল বসেছে।