পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিএনপি নেতা আরজু খানের উপর অতর্কিত হামলায় তিনি ও তার ছেলে তারেকসহ দুইজন আহত হয়েছে। ৯ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামের বিবি স্কুল এন্ড কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আরজু খানকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি দেখা দিলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আরজু খান দিলপাশার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ উঠেছে উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদের বহিস্কৃত চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান এর লোকজন আরজু খানের উপর অতর্কিত হামলা চালায় । প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা বলেন উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়ন বিবি স্কুল এন্ড কলেজে বুধবার সকালে ম্যানেজিং কমিটির পরিচিতি সভায় অংশগ্রহণের জন্য বিবি কলেজ এন্ড স্কুলে ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাফর ইকবাল হিরোক এবং জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে উপস্থিত হন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আরজু খান।পরিচিতি সভায় অংশগ্রহণ শেষে বিবি কলেজ এন্ড স্কুলের গেটে পৌছলে হঠাৎ আব্দুল হান্নানের দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৬—৭ জনের একটি দল তার উপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলায় আরজু খানের মাথার মাঝ বরাবর এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত বিক্ষত হয় এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তার ছেলে এগিয়ে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত আরজু খান সর্ম্পকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তার মাথায় দুই স্থানে আটটি সেলাই রয়েছে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আরজু খানের ছেলে তারেক জানান, তিনি ও তার পিতা দুজনেই কলেজ থেকে বের হচ্ছিলাম এমন সময় হান্নান চেয়ারম্যানের ছেলে ছাত্রলীগের দিলপাশার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট হোসেন, আল আমিন, তাজ উদ্দীন, আমিনুলসহ সাত আট জন তার বাবার উপরে হামলা চালায়।ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়টি শুনার পরপরই তিনি ঘটনাস্থলে তার ফোর্স মোতায়নসহ তিনি হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।