ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়ন হাটপাড়া গ্রামে এক অসহায় পরিবারের চলাচল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোছা. আক্তারা বেগম নামের এক অসহায় পরিবার দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করেন। কিন্তু চলতি বছরের জুন মাসের শুরুতে সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিরসঙ্গী হিসেবে পরিচিত অবাইদুর রহমানের ছেলে মাহাবুর আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই চলাচলের পথটি কঞ্চির বেড়া ও খড়ির মাচা তৈরি করে অবৈধ ভাবে বন্ধ করে দেয়।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়, আমাদের তারা শারীরিক মানসিক আর্থীক ভাবে সবসময় নির্যাতন করে আসছে। এবং জমিতে পানি সেচ ও ফসল ফলাতেও বিভিন্ন ভাবে বাধা দেয়। কিছু বললে দলবেঁধে মারতে আসে এবং ক’দিন আগে ভুক্তভোগী একজনের হাত ভেঙে দেয় মাহাবুর আলম। এছাড়াও অসুস্থ আক্তারা বেগমকে প্রায়ই চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। তার স্বামী একজন খেটে-খাওয়া মানুষ তিন মেয়েকে নিয়েই তাদের পরিবার। চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অবগত করা হলেও অভিযুক্তদের সামাজিক প্রভাব ও হুমকির আশঙ্কায় প্রশাসনের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চলাচলের রাস্তায় বাঁশের কঞ্চির বেড়া ও খড়ির মাচা দিয়ে স্থায়ীভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর একাংশ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, অভিযুক্ত পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত। তারা আরও জানান, মাহাবুর আলম কিছু মাদকাসক্তসঙ্গী এবং ১১নং বৈরচুনা ইউনিয়ন, দক্ষিণ নওপাড়া গ্রামের মো. মাইন উদ্দীনের ৫ ছেলে ও ওই এলাকার কিছু সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি, প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে, যা বর্তমানে আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
ভুক্তভোগীর মা, আজিজা বেগম (৬৭) বলেন, “আমি মাঝেমধ্যে একটু হাঁটতে বের হই কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় এখন আর কোথাও যেতেও পারি না।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহাবুর আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ভুক্তভোগী পরিবারটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেন।