ফরিদপুর জেলা বিএনপির সকল ইউনিট কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ১০ই জুলাই সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত শনিবার জরুরি সভা করেছে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি।
ঐ সভা থেকেই প্রতিটি উপজেলার কমিটি গঠনের জন্য একটি করে কমিটি করা হয়েছে। ঐ কমিটির সদস্যরা যে যে উপজেলার দায়িত্ব পেয়েছে সে ঐ উপজেলার সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করে দিবে। উল্লেখ্য গত ২রা জুন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ফরিদপুর জেলা বিএনপির কমিটি ও তার অঙ্গ সংগঠনের সকল কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক কমিটি করার নির্দেশ দেন। সেই আলোকেই ফরিদপুরের বিএনপির সকল কমিটি ভেঙ্গে দেয় জেলা কমিটি । কমিটি ভেঙ্গে দেওয়াতে খুশী হয়েছে বেশির ভাগ তৃণমূলের সাধারণ নেতা কর্মীরা ।
কোন কোন এলাকায় কোতোয়ালি কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ায় মিষ্টি বিতরন করেছে অত্র এলাকার সাধারণ বিএনপির কর্মি ও সমর্থকেরা। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ ও তৃণমূলের কর্মীদের ফরিদপুর কোতোয়ালি বিএনপির কমিটির উপর ক্ষোভ রয়েছে তাই মিষ্টি বিতরণ করে তারা আনন্দ প্রকাশ করে। কয়েকটি উপজেলায় রবিবার ও সোমবার থেকে সম্মেলন শুরু করেছে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা। ফরিদপুর সদরে কয়েকটি ওয়ার্ড সোমবার বিকালে এবং বোয়ালমারী উপজেলায় সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্মেলন।
তবে আতঙ্কে আছে ১৭ বছরের নির্যাতন হামলা মামলার শিকার হওয়া নেতা কর্মিরা। সাম্প্রতিক কিছু সুবিধা ভোগি ব্যক্তিরা দলের ভিতরে প্রবেশ করে ফেলায় এধরণের বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ফরিদপুরের জেলা বিএনপি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক তৃণমূলের নেতা কর্মিরা জানান, ফরিদপুরের জেলা বিএনপি একাধিক গ্রুপে নিয়ন্ত্রিত। তার মধ্যে একটি গ্রুপ দাবি করছে এরা সরাসরি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর লোক, যদি তাই হয় সে ক্ষেত্রে কমিটি গঠনে একটি প্রভাব থাকবে কারন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর নিজস্ব লোক বলে কথা। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে কিছু জানেন কিনা আমাদের জানা নেই।
কমিটি গঠনে কোন গ্রুপ এর প্রভাব আছে কিনা জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন জানান, কমিটি গঠনে কারো কোন প্রভাব নেই, আমারা নিরপেক্ষ থেকে কমিটি গঠন করবো। তবে সাধারণ ও তৃণমূলের নেতা কর্মিদের দাবি পৃর্বের কোন কমিটির লোকদের এ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না করার ।
ফরিদপুরের বেশির ভাগ কর্মিরা কোতোয়ালি বিএনপির কমিটিতে সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যে কোন একটি পদে ফাত্তাউল ইসলাম ফাত্তাহ রাখার জন্য জোড়ালো দাবি জানান বিএনপির তৃনমূলের নেতা কর্মীরা ।
নেতা কর্মীরা জানান , ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে সাবেক যুবদলের সহ সভাপতি মাহাবুবুল হাসান পিংকু ও বতর্মান আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক , সাবেক রাজেন্দ্র কলেজের জি এস, সাবেক ফরিদপুর জেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেন খান পশাশ কে এবং অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বতর্মান আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন অথবা জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল কে দেখতে চান।
সব মিলিয়ে ফরিদপুর জেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনায় আছে কারা পাবে এ সোনার হরিণের দায়িত্ব ?
