গত বৃহস্পতিবার ২৯ সন্ধ্যায় গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বগুড়ার একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি ইয়াবার চালান বেচা-কেনার উদ্দেশ্যে ৩ জন ব্যক্তি শহরের সাতমাথাস্থ হোটেল একাত্তরের সামনে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে আনসার সদস্য মোঃ আবু সুফিয়ানের নিকট থেকে ৭০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তার সঙ্গে আরো ৩ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে।
গ্রেফতাকৃত ৩ জনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতার হওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে আরো ১৫০ পিস ইয়াবা তারা অন্য ১ জনের কাছে বিক্রয় করেছে। ক্রেতার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে অভিযান পরিচালনা করে তার নিকট থেকে আরো ১৫০ পিস ইয়াবাসহ ক্রেতাকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার পরবর্তী সময় জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সেও একজন পুলিশ সদস্য। তার নাম নায়েক-৩১৫ মোঃ আব্দুল আলিম, তিনি বগুড়া পুলিশ লাইন্সে কর্মরত।গ্রেফতারকৃত ৪ জনকে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে আনার পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় জয়পুরহাট জেলার ট্রাফিক কনস্টেবল মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, আরআরএফ কনস্টেবল ওয়াহাব ও আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান ৮৫০ পিস ইয়াবা নিয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বগুড়ায় আসেন। অপরদিকে বগুড়া কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীমের নিকট ১৫০ পিস বিক্রি করে। পরবর্তীতে বাকি ৭০০ পিস বিক্রির সময় জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি), টিমের কাছে কনস্টেবল -৯১১ মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, ট্রাফিক কনস্টেবল-৭৭৫ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও আনসার সদস্য নং-৪৬০১৫ মোঃ আবু সুফিয়ান গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম কনস্টেবল-৯১১ মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, (বিপি-৮৬০৫১০৫৬৭০, আরআরএফ, রাজশাহী), পিতা-মোঃ ফারাজুল ইসলাম, সাং-বশিনা বাড়ী, বালুয়া হাট, থানা-সোনাতলা, বগুড়া। ট্রাফিক কনস্টেবল-৭৭৫ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, (বিপি-৮৮০৭১২২৬০১, জয়পুরহাট জেলা), পিতা-মোঃ আশরাফ আলী, সাং-নিজ বলাইল, থানা-সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
নায়েক আব্দুল আলীম, (বিপি-৯২১২১৫০৭৫৭, পুলিশ লাইন্স, বগুড়া), পিতা-মৃত কাজী দেলোয়ার হোসেন, সাং-পাড়কুল গোয়াহাট্টা, থানা-উল্লাপাড়া, জেলা-সিরাজগঞ্জ। আনসার সদস্য নং/৪৬০১৫ মোঃ আবু সুফিয়ান, পিতা-মৃত আব্দুল খালেক, সাং-নিজ বলাইল, থানা-সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
মাদক ব্যবসায়ী ৩ পুলিশ সদস্য ও আনসার কে অতি গোপনীয়তা রক্ষা করে, আজ শুক্রবার অতি গোপনতা রক্ষা করে প্রেরণ করা হয়। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশ সদস্যরা মাদক কার বাড়ি এই জন্যই কি তাদের কুটকৌশলে কোর্টে হজতে প্রেরণ করা হলো?