খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলায় চাউল বিতরণ নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা ও প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ৫ আগস্টের পর তিনবার কাঠের চাউল এসেছে বলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মাত্র দুইবার চাউল বিতরণ করা হয়েছে, আর তৃতীয় বারের চাউলের হদিস মিলছে না। অথচ ইউনিয়ন পরিষদের কাগজপত্রে দেখানো হচ্ছে তিনবারই চাউল বিতরণ করা হয়েছে। এই অসঙ্গতির বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানরা দাবি করছেন, তারা মাত্র দুইবারের চাউল পেয়েছেন। তাহলে তৃতীয় বারের চাউল গেল কোথায়? এই প্রশ্নই এখন বটিয়াঘাটার সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
বটিয়াঘাটা উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। যাদের জন্য এই চাউল বরাদ্দ করা হয়েছিল, তাদের অনেকেই বলছেন, দুইবার চাউল পেলেও তৃতীয় বারের চাউলের কোনো খোঁজ তারা পাননি। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা শুনেছি তিনবার চাউল এসেছে, কিন্তু আমাদের হাতে এসেছে মাত্র দুইবার। বাকি চাউল কোথায় গেল, কে নিল, এটা জানতে চাই। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, তারা শুধু দুইবার চাউল পেয়েছেন এবং সেটিই বিতরণ করেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের কাগজপত্রে তিনবার চাউল বিতরণের তথ্য থাকলেও বাস্তবে তৃতীয় বারের চাউল বিতরণ না হওয়ায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এই অসঙ্গতির পেছনে হয়তো কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি রয়েছে। একজন গ্রামবাসী বলেন, যদি তিনবার চাউল এসে থাকে, তাহলে তৃতীয় বারের চাউল কেন আমাদের দেওয়া হলো না? এর পেছনে কী রহস্য, তা খোলাসা করা উচিত।
বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। তবে স্থানীয়রা দাবি করছেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা হোক। তারা জানতে চান, তৃতীয় বারের চাউল কোথায় গেল, কারা এর জন্য দায়ী এবং কেন কাগজপত্রে ভিন্ন তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনা শুধু বটিয়াঘাটার নয়, বরং সারাদেশে সরকারি ত্রাণ বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার গুরুত্ব তুলে ধরছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করছেন, উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং তৃতীয় বারের চাউলের হদিস জানাবে। নইলে, সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়বে, আর সরকারি সহায়তার প্রতি আস্থা কমবে।
বটিয়াঘাটার মানুষ এখন অপেক্ষায়—তারা জানতে চায়, তাদের প্রাপ্য চাউল কোথায় গেল? সত্য উদঘাটন না হওয়া পর্যন্ত এই প্রশ্ন থামবে না।