আজ (২১মে )বরগুনায় সাম্প্রতিক যে বৃষ্টিপাত হয়েছে, সেটিকে বলা যায় “স্বস্তির বৃষ্টি”, কারণ এটি একটানা গরম ও খরার মতো পরিস্থিতির পরে জনজীবনে এক ধরনের প্রশান্তি এনেছে।
দুপুরের রোদটা হঠাৎ হারিয়ে গেল। আকাশটা ধীরে ধীরে সাদা থেকে ধূসর, আর তারপর গভীর কালোয় ঢেকে গেল। একটানা গরমে হাঁসফাঁস করা বরগুনার মানুষ তখন তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। হঠাৎ, এক ফোঁটা, দুই ফোঁটা… তারপর একেবারে ঝমঝমে বৃষ্টি!
অনেক কৃষক বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছিলেন, এই বৃষ্টি তাদের চাষাবাদের জন্যআশীর্বাদস্বরূপ।
রোপণ মৌসুমের শুরুতে এই বৃষ্টি ধান ও সবজি চাষের জন্য সহায়ক হবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, “এই বৃষ্টিতে প্রাণ জুড়িয়ে গেছে। গরমে যে কষ্ট হচ্ছিল, সেটা কিছুটা কমেছে।”
দোকানদার থেকে শুরু করে রিকশাচালক, সবাই একটু হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন।
এই স্বস্তির বৃষ্টি প্রকৃতির এক আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বরগুনার মানুষের জন্য।
সেই যে পুরোনো মাঠটা, যেখানে সারা বছর ধুলো উড়ে, আজ সেখানে শুধু পানি আর হইচই।
মাঠের মাঝখানে জমে থাকা পানিতে লাফিয়ে পড়ে তারা বানায় ছোট ছোট ঢেউ।
কেউ ছেঁড়া বল নিয়ে ফুটবল খেলতে শুরু করে। বল পানি ঠেলে সামনে এগোয়, আবার কখনো ডুবে যায়। সবাই হেসে ওঠে—এ হাসি যেন শহরের কোলাহলে হারিয়ে যাওয়া এক সোনা-মেলা সুর।
কেউ ছাতা ছাড়াই রাস্তায় হাঁটে—মাথা পেছনে হেলানো, মুখে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ছে।
ছোট একটা ছেলে দু’হাত মেলে দাঁড়িয়ে, যেন বলছে — “এই পৃথিবীটা আমার”।