বরগুনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে হামলায় নারীসহ ৫ জন আহত হয়ে বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।আহতরা হলেন— মো. ইউনুসের স্ত্রী মোসা. মোমেনা বেগম (৪০), মো. আব্দুল বারেক মিরার ছেলে মো. ইউনুস (৪৫), মৃত জনাব আলী মিরার ছেলে মো. আব্দুল বারেক মিরা (৬২)।শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের পশ্চিম ধুপতি এলাকায় দুই গ্রুপের নিজ বসতঘরের সামনে খোলা উঠানে এই ঘটনা ঘটেছে।হামলায় জড়িত অভিযোগকারীরা হলেন —মো. কনু মিরার ছেলে মো. কামাল মিরা (৪০), মৃত শানু মিরার ছেলে মো. জামাল (৩৫), মো. কামাল মিরার ছেলে মো. তামিম (১৮),মৃত শানু মিরার ছেলে মো. ছগির মিরা (৩০)।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আগে থেকেই দুই গ্রুপের মধ্যে জমি নিয়ে বিবাদ চলে আসছে। তবে এলাকায় শনিবার ঘটনার দিন প্রতিপক্ষের বাড়িতে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। এবং সেই দিনেই আবহাওয়া খারাপ থাকায় বৃষ্টিতে উঠানের মাটি নরম হয়ে যায়। এসময় একটি অটোরিকশা উঠানের মাঝখান থেকে বার বার নেওয়া আসা করতে আহতরা নিষেধ করে। আগের শত্রুতা এবং নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। পরে মেয়ের বিয়েতে আত্মীয় স্বজন থাকায় সবাই মিলে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে এসে এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে নারীসহ তিনজনকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।এসময় খবর পেয়ে ভুক্তভোগীদের আত্মীয়— স্বজনরা এসে গুরুতর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি প্রদান করেন।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মোসা. মোমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামী ও শ্বশুরকে ওরা এলোপাতাড়িভাবে কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে নির্যাতন চালাতে থাকে। আমি তা দেখে ছাড়ানোর উদ্দেশে দৌড়ে গেলে আমাকে ওরা শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেও আমার স্বামী ও শ্বশুরকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে আসছে। আমাদের নিরাপত্তার জন্য থানায় শরণাপন্ন হয়েছি।হামলার বিষয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় আমার কাছে মোমেনা বেগম নামে অভিযোগ আসছে। ২—৩ জন আহত হয়েছে। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।