বরগুনার আমতলী উপজেলায় এক অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে উত্যাক্ত করার প্রতিবাদ করায় মা-বাবাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে স্থানীয় জাহিদ মোল্লা ও তার স্বজনরা লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ঘটনাটি কিছু সংবাদ মাধ্যম মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন। স্কুল ছাত্রীর পরিবার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মারধর করা ও থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন, আমতলী উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. পলাশ আকন। সংবাদ সম্মেলনে হামলার শিকার সজল আকনের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. পলাশ আকান লিখিত অভিযোগে বলেন, ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় সন্ত্রাসী শাহিন আলমের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী খুড়িয়ার খেয়াঘাট বাজারে গতিরোধ করে তার ভাই জাহিদকে মারধর ও মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এঘটনায় বাধা দিলে তার ছোট ভাই সজল আকনের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। রিমন নামের আরেক সন্ত্রাসী রড দিয়ে বেদম পিটায়। আমরা কোনমতে উদ্ধার করে আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। আমতলী উপজেলার কর্মরত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে অসুস্থ সজলের নাম কেটে দেন।
পরদিন সজলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে আমরা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। এঘটনায় আমরা আমতলী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করলে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে যারা সন্ত্রাসী হামলা চালালো, পিটিয়ে জখম করলো, তারাই মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ‘মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মা-মেয়েকে হাতুড়িপেটা’ ও ‘অন্তঃসত্ত্বা মা বাবাকে হাতুড়িপেটা’।
আমরা প্রকাশিত এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে একটাই দাবি সঠিক ঘটনাটা তদন্ত করে সংবাদ প্রকাশ করেন। আমাদেরকে যার যার পরিবারে মান সম্মান নিয়ে পরিবারের মানুষের সাথে বসবাস করতে যানি পারি। এত বড় মিথ্যা অপবাদ গণমাধ্যম কর্মীরা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে এটা যদি সঠিক তদন্ত করে সংবাদ প্রকাশ না করা হয় তাহলে আমরা প্রকাশ্যে আত্মহত্যা করব।