বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ও নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ করেছেন। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন ও বরিশাল জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের কাছে তিনি এ সংক্রান্ত তিনটি অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ওই আসনে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া আওয়ামী লীগ মনোনীত শাম্মী আহমেদের অনুসারীরা এই হামলার সাথে জড়িত। এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম “দেশ বুলেটিন” কে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং এ ঘটনায় থানায় মামলাও দায়ের হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব।
পঙ্কজ নাথ তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, হিজলা উপজেলায় হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দিপু সিকদার ও ধুলখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামাল ঢালী, জেলা পরিষদ সদস্য শাহাবুদ্দিন পন্ডিত। আর মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন উলানিয়া উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জামাল মোল্লা, উলানিয়া দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরী। অপরদিকে মেহেন্দিগঞ্জে পৌর মেয়র কামাল উদ্দিন খানের ছেলে রিয়াদ খানের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল মহড়া চলছে দিনরাত্রি।
রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেওয়া অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, রবিবার সকালে হিজলা উপজেলার ধূলখোলা ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজারে ঈগল মার্কার প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করার সময় হামলা চালানো হয়। এ সময় আলিগঞ্জ বাজার মন্দির কমিটির সভাপতি রামপ্রসাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তার নেতৃত্ব দেন জামাল ডালী, রবি ডালী, সালাউদ্দিন সালা, নিজাম, রফিক ডালী, আফসার, বাবুসহ ৫০/৬০ জন। নৌকা প্রতীকের স্লোগান দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে।
অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেন, শনিবার সন্ধ্যায় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া উত্তর ইউনিয়নের বালিয়া পোমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলরুমে কেন্দ্র কমিটি করার সময় ইয়াসিন হাওলাদার, আবুল কালাম, সালাউদ্দিন মাতাব্বর, ইব্রাহিম ফরাজী, বেলাল ফরাজি, তারেক হাওলাদার, রুবেল, বাবু হাওলাদারসহ ২০/২৫ জন ইট পাটকেল মারেন।
ওই বিদ্যালয়ের পাশে রাজু মেম্বারের বাড়িতে হামলা চালান তারা। একই দিন সন্ধ্যায় হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের টাকের বাজারে ঈগল প্রতীকের কর্মী অহিদ সরদারকে রক্তাক্ত জখম করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং ঈগল মার্কার অফিস ভাঙচুর করে। হামলায় অংশ নেন ঝন্টু বেপারী, সালাউদ্দিন রাড়ী, আব্দুল করিম কবির, তানভীর মীর, কাউসার, ১৫/২০ জন। তিনি এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার বিচার দাবী করেছেন।